আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সেই কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে এবার আওয়ামী লীগের কমিটির আকার বাড়ছে না। ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিই থাকছে বলে দলটির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত গঠনতন্ত্র উপ-কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় আওয়ামী লীগের আকার বা পরিধি বাড়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, সম্মেলনের মাধ্যমে আগামীর নতুন কমিটির আকার তেমন পরিবর্তন হবে না। সাংগঠনিক বিভাগ বেড়ে ১০টি করার প্রস্তাবনা থাকতে পারে এ সম্মেলনে। সে ক্ষেত্রে দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক এবং একটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ যুক্ত হবে। এসব পদ বাড়লে সম্পাদকমণ্ডলীর কম গুরুত্বপূর্ণ একাধিক পদকে এক পদে কমিয়ে আনার চিন্তা করছে গঠনতন্ত্র সংশোধন উপ-কমিটি।

আরও পড়ুন : রাজনীতি ছেড়ে সাংবাদিকতা পড়ছেন যুবলীগের ‘ত্যাগী’ নেতা

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যা ১৭টি। সেখান থেকে ১টি কমতে পারে। ১-২টা সম্পাদকমণ্ডলীর পদ কমতে পারে। এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য সংখ্যা ২৮টি। সেখান থেকে ৩টি বাদ দেওয়া হতে পারে।  

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র সংশোধন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আজ আমরা গঠনতন্ত্র উপ-কমিটির মিটিং করেছি। এই সভায় আমরা প্রাথমিক আলোচনা করেছি। দায়িত্ব অর্পণ করেছি। গঠনতন্ত্রটি কীভাবে আরও বেশি সুন্দর করা যায়, যাতে সংগঠনটি আরও সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী করতে পারি এসব বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, আমাদের এই উদ্যোগগুলো সংগঠনকে আরও সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত করবে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সবসময় শক্তিশালী দল। এই সম্মেলনের মাধ্যমে দল আরও বেশি আধুনিক হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বর্তমান কমিটি যেটা আছে, আমার মনে হয় সেটাই যথেষ্ট। এ বিষয়ে আমাদের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, আরও আলোচনা আসবে। ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমরা জেলা, উপজেলা পর্যায়ে চিঠি দিয়ে কমিটির বিষয়ে তাদের মতামত আহ্বান করব।  

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমরা জাম্বু জেড মার্কা কমিটি করব না। কমিটির সদস্য এতো বেশি হবে না যে তাদের বসার জায়গা দেওয়া যাবে না। প্রতি দিন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ আওয়ামী লীগে হবে না। গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য তৃণমূল থেকে মতামত নেওয়া হবে। আমরা অনলাইনেও মতামত নেব। আমাদের রাজনৈতিক ভিশন, মিশন সাধারণ মানুষকে নিয়ে। তৃণমূলের মানুষের আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিই। জাতীয় কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে সেই মতামত প্রতিফলিত হবে। 

এমএসআই/এসকেডি