কোনো রকম ঝামেলা না করে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশের ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নয়াপল্টনে সমাবেশ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা (পুলিশ) এখনো সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করে দেয়নি। ডিএমপির প্রতি আহ্বান, কোনো ঝামেলা ছাড়া স্থানের অনুমতি দেওয়ার। বিএনপি নিয়ম মেনে সমাবেশের আবেদন করেছে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‌‘দেউলিয়াত্ব ঘোচাতে দুর্ভিক্ষের নাটক? দেশ কোন পথে’ শীর্ষক সেমিনারের তিনি এ আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট না দেখে আওয়ামী লীগ নেতারা মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরের রঙিন জীবন দেখছে। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দুর্ভিক্ষ হয়। এই দলের যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে, তাদের দুর্নীতি লুটপাট দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ।

তিনি বলেন, বিধবা ভাতা বা দুস্থ ভাতার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কেটে নেয় আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগ জাতির জন্য বোঝা হয়ে গেছে। এটা সরাতে না পারলে সবাই ডুবে যাবো। দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্জন নষ্ট করছে। আওয়ামী লীগ দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এমন কোন খাত নেই সেখানে দুর্নীতি হয় না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক পুরোনো রাজনৈতিক দল, তাদের জনভীতি আছে কিন্তু ক্ষমতার থাকার লালসায় তারা এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন করে গায়েবি মামলা শুরু করেছে। ককটেল ফাটানোর কথা বললেও যে ঘটনা কেউ শোনেনি, দেখেনি তা নিয়ে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। পুরোনো নাটক শুরু করেছে সরকার। যেন বিএনপি মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, অন্যদিকে সরকার তার কাজ করে যেতে পারে। সরকার পতনের আন্দোলন ভিন্নখাতে নিতেই আগুন সন্ত্রাস আর জঙ্গি নাটকের ধোঁয়া তুলছে ক্ষমতাসীনরা। দেশে জঙ্গি ছিনতাই নাটক তৈরি করা হচ্ছে, উদ্দেশ্য জনগণের মূল দাবি ভিন্নখাতে নিতে চায় সরকার।

তিনি বলেন, সরকারকে সরে যেতে হবে, নতুন নির্বাচন দিতে হবে। কোনো দলীয় সরকার নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএ