জিয়াউর রহমান ধূর্ত ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন : হাছান মাহমুদ
ফাইল ছবি
জিয়াউর রহমান একজন বিচক্ষণ, ধূর্ত ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। মন্ত্রী বলেন, তিনি (জিয়াউর রহমান) সামনে না থেকে পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করতে মূল ভূমিকা রেখেছেন।
মহান বিজয় দিবস সামনে রেখে আজ (বুধবার) বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত এ সভার আয়োজনে ছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।
বিজ্ঞাপন
হাছান মাহমুদ বলেন, মৌলবাদী অপশক্তিকে সব সময় ব্যবহার করেছে বিএনপি। যারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল তাদের পুনর্বাসন করেছে জিয়াউর রহমান। আর খালেদা জিয়া তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছে। খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ও তারেকের নেতৃত্বে বর্তমানে তারা তাদের জোটের মধ্যে আছে। তাই বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো যে, সাপ নিয়ে খেলবেন না, সাপ নিয়ে খেললে আপনাদেরই ছোবল দেবে।
তিনি বলেন, আমরা পরবর্তীতে দেখতে পেয়েছি যে, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর খন্দকার মোশতাক তাকে সেনাপ্রধান বানিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকলে খন্দকার মোশতাক কখনও তাকে সেনাপ্রধান বানাতেন না। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করে স্বাধীনতার বিপক্ষের মানুষকে আশ্রয় দেয়।
বিজ্ঞাপন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ প্রায় ৫০ বছর হতে চললো বাংলাদেশের বয়স। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে কয়েকবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। যে চেতনা নিয়ে পূর্বপুরুষেরা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে সেই চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতাকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ফতোয়া দেয়া হয়েছিল যে পাকিস্তানকে যারা ভাঙতে চায় তারা সবাই ইসলামের শত্রু। আর মুক্তিযোদ্ধাদের বলা হয়েছে কাফের। আজকে তারই ধারাবাহিকতায় আমরা দেখতে পাই তাদের উত্তরসূরি, যারা বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল, পাকিস্তানের পক্ষে ফতোয়া দিয়েছিল তারাই আজ ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক করছে। এরা শুধু দেশের শত্রু নয়, এরা প্রকৃত পক্ষে আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এদের অতীত ঘেঁটে দেখলে দেখা যাবে এরা পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলেছে।
ইয়াহিয়া, আইয়ুব খান সবাই যেমন ধর্মের দোহাই দিয়েছে, ঠিক আজ যারা ভাস্কর্য নিয়ে নানা কথা বলছে তারা সবাই একই শ্রেণির মানুষ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা আর ভাস্কর্য নিয়ে বক্তব্য দেয়া এই দুই জায়গায় দুরভিসন্ধি আছে।
একে/এনএফ