ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসেছেন। সম্মেলনস্থল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এরইমধ্যে চলেও এসেছেন তারা। মিছিল নিয়ে সম্মেলনের গেটে পৌঁছে ভেতরে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।   

বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের পাশাপাশি রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও রাজধানীর ওয়ার্ড,  থানা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও। এতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ মুখে ভিড় দেখা যাচ্ছে।  

সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চার পাশে অবস্থান নিতে শুরু করেন জেলার নেতারা। 

আরও পড়ুন : ছাত্রলীগ : আদর্শিক রাজনীতির ধারক

পঞ্চগড় থেকে আসা রাকিব নামে একজন ডেলিগেট ঢাকা পোস্টকে বলেন, দূরত্ব বিষয় নয়, প্রাণের সংগঠনের সম্মেলন অংশ নিতে যাচ্ছি। এটা আনন্দের ব্যাপার। নতুন নেতৃত্ব আমাদের নেত্রী যাকে দেবেন আমরা তৃণমূল তাদের  সাদরে গ্রহণ করব। যোগ্য নেতৃত্ব আসুক, আমরা এটাই চাই। 

এদিকে ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে নিজেদের যোগ্যতার জানান দিতে মিছিল নিয়ে সম্মেলনে গেইটে অবস্থান করতে দেখা গেছে সংগঠনের র্শীষ পদপ্রত্যাশীদের। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখার দায়িত্বশীল নেতারাও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলন প্রাঙ্গণে উপস্থিত হচ্ছেন। 

প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আরও পড়ুন : ছাত্রলীগ নিয়ে এত সমালোচনা কেন? 

এতে সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও উপস্থিত থাকবেন।

সর্বশেষ ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ভারমুক্ত’ হন তারা।

এমএসআই/এনএফ