বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা, পাশে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যার ছবি/ ঢাকা পোস্ট

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা আসে আরও এক মাস আগে। যদিও সমাবেশস্থল নির্ধারণ নিয়ে এখনও দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। পুলিশ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে বিএনপিকে। কিন্তু এ প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। 
  
বিএনপির দাবি, নয়াপল্টন অথবা আরামবাগ আইডিয়াল স্কুলের সামনে সমাবেশের অনুমতি দিতে হবে। এর বাইরে কোথাও অনুমতি দিলেও সেখানে যাবে না তারা।

সমাবেশের আর মাত্র তিন দিন বাকি। এখন পর্যন্ত সমাবেশস্থল নির্ধারণ না হওয়ায় সংশয়ে রয়েছেন নেতাকর্মীরা। এ অবস্থার মধ্যে আজ সন্ধ্যায় দলটির কয়েকশ নেতাকর্মী রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।  


 
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর ) বিকেল থেকেই অল্প অল্প করে নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় থেমে-থেমে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান করছিলেন।

আরও পড়ুন : নয়াপল্টন-আরামবাগের বাইরে সমাবেশ করবে না বিএনপি 

এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবস্থানের কারণে তৎপরতা বেড়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে এবং আশপাশের গলিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এছাড়া কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জলকামানও এনে রাখা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নেতাকর্মীদের এ অবস্থান সাময়িক সময়ের জন্য। সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো অবস্থান নয় এটি।

আরও পড়ুন : আরামবাগ চেয়েছে বিএনপি, এখনো বিকল্প চিন্তা করেনি পুলিশ

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ১০ তারিখের সমাবেশের স্থান নিয়ে কথা বলতে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল মতিঝিল জোনের পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে গেছেন। যদিও তারা এখনও কথা বলতে পারেননি। 

এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রচুর ব্যানার-ফেস্টুন আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, খাবার রান্না করার জন্য ডেকোরেটর থেকে হাড়ি-পাতিলও এনে রাখা হয়েছে সেখানে। 

এএইচআর/এসকেডি