সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ

বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ৮ ঘণ্টা পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে আটক করার কথা স্বীকার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস ডিবির কমপাউন্ডে আছে। তাদের কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর পরবর্তী অবস্থান বলা যাবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে পরিবার, তবে ডিবি রাত থেকে বিষয়টি স্বীকার করেনি। 

ডিবি প্রধান আরও বলেন, দুইদিন আগে যে পরিস্থিতি হয়েছে সেখানে ৫০-৬০ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে এবং অনেক ভাঙচুর হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাতে পারব। 

• আরও পড়ুন : মির্জা ফখরুলের আটকের বিষয়ে যা বললেন তার স্ত্রী

সমাবেশের স্থান নির্ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল দুইটি স্থান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা প্রথমে বলেছে, তারা কমলাপুর স্টেডিয়ামে জনসমাবেশ করতে চায়। আমরা তখন মিরপুর বাংলা কলেজের কথাও বলি। দুইটি স্থানই পুলিশ সদস্যরা দেখে আসে। কিন্তু কমলাপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা চলছে, এছাড়াও নিচে সিনথেটিক টার্ফ রয়েছে। সেখানে জনসমাবেশ করলে মাঠ নষ্ট হয়ে যাবে। সে কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিএনপি মিরপুর বাংলা কলেজে জনসমাবেশটি করবে। কিন্তু বিএনপি এখন আবার গোলাপবাগ মাঠের কথা বলছে। আসলে গোলাপবাগ মাঠ নিয়ে বিএনপির সাথে কোনো কথা বা সিদ্ধান্ত হয়নি। 

এদিকে মির্জা ফখরুল আটক হওয়ার পর আজ সকাল ৬টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। তিনি জানান, পুলিশ সদস্যরা রাত ৩টার দিকে বাসায় ঢুকে তার স্বামীকে নিয়ে যায়। 

রাহাত আরা বলেন, ডিবির চার জনের মতো সদস্য তাদের বাসায় প্রবেশ করে, বাকিরা নিচে ছিল। 

আরও পড়ুন : স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ভেন্যুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত 
 
বিএনপির মহাসচিবকে কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওরা (ডিবি) বলেছে, দুই তিনটা মামলা নাকি হয়েছে। ‘ওপরের নির্দেশে’ তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এআর/এনএফ