রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠের সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে এরই মধ্যে নেতাকর্মীরা মানিকনগর, টিটিপাড়া, কমলাপুর এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। এখনো খণ্ড খণ্ড মিছিল-ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে আসছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এই বিপুল জনসমাগমকে ঘিলে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কমলাপুর-মুগদা-টিটিপাড়া হয়ে যারা সমাবেশে আসছেন তাদের ওপর কড়া নজর রেখেছে পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কমলাপুর এলাকায় সাজোয়া যান (এপিসি) ও জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে আসা কিংবা সমাবেশ শেষে যাওয়ার পথে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়।

কমলাপুর ও টিটিপাড়ামুখি রাস্তার দুই দিকে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। দুই দিকে রাস্তার দুই পাশে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করানো রয়েছে সাজোয়া যান, জলকামান, প্রিজনভ্যান। এর মধ্যে কমলাপুরগামী রাস্তার বামপাশে একটি এপিসি, একটি জলকামান ও দুটি প্রিজনভ্যান দাঁড় করানো রয়েছে।

পুলিশের প্রস্তুতি নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সামাবেশস্থলে ও এর আশপাশ এলাকায় সমাবেশ চলাকালে বা শেষে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। আর অপ্রীতিকর ঘটনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই পুলিশের অবস্থান। সমাবেশস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অনাকাঙিক্ষত ঘটনা মোকাবিলা করতে পুলিশের যা যা প্রস্তুতি থাকা দরকার তা নিয়েই পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার সকালে সমাবেশ পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে বলেন, অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই অংশ নিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা আসছেন। কাল রাত থেকেই আসছে, এখনো আসছে। সবকিছু এখনো স্বাভাবিক আছে, তারা জড়ো হচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করে চলে যাবেন, সেটাই আমরা আশা করছি।

সার্বিক নিরাপত্তা সম্পর্কে ডিএমপির এ অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সমাবেশ তো গোলাপবাগে। তবে পুরো ডিএমপি এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক বিভাগেই পুলিশ মোতায়েন করা আছে।

হাফিজ আক্তার বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বিধানে সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কেপিআইভুক্ত সব প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। জন চলাচল কোথাও বন্ধ রাখা হয়েছে। চাইছি সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হোক, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত না হোক।

তিনি আরও বলেন, সমাবেশ কেন্দ্রিক, সমাবেশস্থলসহ পুরো ঢাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‌্যাব, আনসার, পুলিশ মোতায়েন আছে। ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে র্যাব আনসার তো আছেই। মাঠে লোকজন যাচ্ছে। আয়োজকদের আমরা অনুরোধ করে বলেছি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করতে।

এমএসি/এসএম