ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেছেন, সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ডাকসুতে হামলা চালানো হয়েছে। অথচ তাকে যাকে শাস্তি না দিয়ে বরং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা বিচারহীনতার সমাজে বাস করছি। তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ ২০১৯ সালে সাধারণ ছাত্রদের উপর বর্বরোচিত হামলা। ১৯৫২ সালে যেমন ছাত্র ছাত্রীরা জেগেছিল, এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ফিরিয়ে আনতে, সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে, সবার অধিকার ফিরিয়ে আনতে ছাত্র-ছাত্রীদের আবার জেগে উঠতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ক্যাম্পাসে লাইটিং পর্যাপ্ত নেই। তারা নাকি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে এক রুমে ৩০/৪০ জন ছাত্র রেখে তারা কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে! এদেশ স্বাধীন হয়েছে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, অথচ মেহনতি মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পাচ্ছে না। প্রশাসন দাবি করে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ অথচ এদেশের প্রতিটি মানুষের গড় ঋণ ৯৬ হাজার টাকা। এভাবে কোনো দেশ স্মার্ট হয় না।

মানুষকে কথা বলার অধিকার, রাজনীতি চর্চার অধিকার দিতে হবে। হলগুলোকে দখলমুক্ত রাখতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়া সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ডাকসুতে হামলা চালানো হয়েছে। অথচ তাকে শাস্তি না দিয়ে বরং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি করা হয়েছে। প্রশাসনের উচিত এর সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।

এইচআর/এসকেডি