ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর মাধ্যমে তিনি টানা তিন মেয়াদে এ দায়িত্ব পেলেন।
 
২০১৬ সালের ২০তম কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়ে দশম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। এরপর তিনি দীর্ঘদিন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। করোনা মহামারিতে ঘরের বাইরে তার তৎপরতা খুব একটা ছিল না। এজন্য এই পদে পরিবর্তন আসছে বলেই দলের নেতাদের মধ্যে বেশ আলোচনা ছিল। কিন্তু সম্মেলন সামনে রেখে গত দুই মাস জেলায় জেলায় দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন কাদের। যার ফল আজ পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> ‘ক্যারিশমাটিক’ কাদেরের হ্যাটট্রিক নাকি নতুনে পথ চলবে আ.লীগ

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। তার আগে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই সময় দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় পরিবেশন করা হয় জাতীয় সঙ্গীত।

আরও পড়ুন>> ক্ষমতার বলয়ে ১৩ বছর, আওয়ামী নেতৃত্বে নতুন মুখ কম

পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বক্তব্য রাখেন।

প্রথম অধিবেশনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগকে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আমরা প্রস্তুত আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে। 

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়েছে। এই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বহু মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমান। মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছে। এসব ইতিহাস আমাদের ভুলে গেলে হবে না।

এমএসআই/জেডএস