আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কর্মসূচি দেয়, ১/১১ এর জন্য তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। তাদের কারণেই গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে ছিল, আছে, থাকবে। রাজাকার-আলবদরদের আর এদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।
 
বুধবার (১১জানুয়ারি) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। 

হানিফ বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে রাজাকার-আলবদররা আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। কেউ চেষ্টা করলে তাদেরকে প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ। রাজপথ উত্তপ্ত করতে চাইলে জবাব দেওয়া হবে, প্রতিহত করা হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, আসলে লজ্জা নেই। লজ্জা থাকলে তারা বলতো না যে তাদের সঙ্গে দেশের জনগণ আছে। এই বিএনপির কারণেই এক-এগারো সৃষ্টি হয়েছিল।
 
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিল অপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও তিনি বাংলাদেশের মানুষের কথা, দেশের স্বাধীনতার কথা ভুলে যাননি। 

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করতে কাজ শুরু করেছিলেন, তখন স্বাধীনতার পরাজিতশক্তি তাকে হত্যা করে। যারা স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন আবার বিএনপি ষড়যন্ত্র শুরু করছে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ইঞ্জি. আব্দুসু সবুর, উপপ্রচার বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনিবাহী সদস্য সানজিদা খানম। 

এছাড়া কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেসবাহুল হক সাচ্চু, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকীও বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

এমএসআই/জেডএস