বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ধ্বংস করে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ সময় তিনি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাসের বিশ্বাসঘাতক বলেও আখ্যায়িত করেন।

শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘আবার ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, সেই সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের বিশ্বাস ও অসাম্প্রদায়িকতাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়। এই ধ্বংসের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ একেবারে নিমজ্জিত হতে বসেছিল। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে ২১ বছর রাজপথে থাকা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি বলেন,  মানুষের কর্মই ইতিহাসে স্থান দখল করে নেয়। ইতিহাস থেকে কারও নাম মুছে ফেলা যায় না। মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে না এমন লোককেও জিয়া মন্ত্রী করেছেন। বাংলাদেশকে কার্যত পাকিস্তান করেছিলেন জিয়া। তিনি পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেন। ৭ মার্চের ইতিহাস বিভ্রান্ত করার চেষ্টা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

জিয়া ছিলেন যুদ্ধাপরাধী উল্লেখ করে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ১৯৭৩ সালের মানবতাবিরোধী আইন অনুযায়ী তিনি যুদ্ধাপরাধী। জিয়া ১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চ অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছেন। জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি ছিলেন যুদ্ধাপরাধী। তিনি ২৭ মার্চ রেডিওতে ভাষণ দিয়ে কলকাতায় পালিয়ে যান। সেখানে বসেই পাকিস্তানের গুপ্তচরের কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, আজ যে মির্জা ফখরুল বঙ্গবন্ধুর মতো একজন মহান ব্যক্তির সঙ্গে জিয়ার তুলনা করছেন, সেই ফখরুল কে? তিনিও রাজাকার। এ তুলনা আমাদের জন্য লজ্জার।

সেমিনারে সাংবাদিক আলী হাবিবের লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাছুম বিল্লাহ্। প্রবন্ধে আলী হাবিব উল্লেখ করেন, আবারও সরাসরি ইতিহাস বিকৃতির পথে নামল বিএনপি। আক্রান্ত হলো স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস। পরোক্ষে নয় প্রত্যক্ষভাবেই অস্বীকার করা হলো পবিত্র সংবিধান।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মো. শফিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া।

একে/এসকেডি