আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগ সংগঠিত, কিন্তু আমরা নেত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এ বীরের দেশে বিশ্বাসঘাতকের অভাব নেই। আজকে বিএনপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে। বিশ্বাসঘাতকদের যোগসাজশ না থাকলে তারা কোনোদিন সফল হবে না, হতে পারে না।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধানের বাইরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে কোনো অস্বাভাবিক সরকার আওয়ামী লীগ মানে না, মানবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।

সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নাকে খত দিয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসে কি না তা দেখার অপেক্ষায় আছি। সরকারের পতন নয়, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ আপনাদের (বিএনপি নেতাদের) পদত্যাগ দাবি করবে আপনাদের নেতাকর্মীরাই।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাকশালের বিরুদ্ধে কথা বলেন। কৃষক, শ্রমিক, আওয়ামী লীগ, বাকশাল সব দল ও মত নিয়ে গঠিত জাতীয় দল। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে দরখাস্ত করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, কৃষক ও শ্রমিককে ঘৃণা করে বিএনপি। সার ও মজুরির দাবিতে আন্দোলনে  কৃষক ও শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছে বিএনপি। ৫৪ দল ৫৪ এর মতো। তারা সরকারকে লাল কার্ড, ট্রাম্প কার্ডও দেখাল...আসলে বাস্তব পরিস্থিতি ঘোড়ার ডিম। জনগণ ছাড়া গণআন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই। বাংলাদেশেও এর অবাস্তব উচ্চারণ দিয়ে লাভ নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতারা।

এমএসআই/কেএ