কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভেঙে পড়ার ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এজন্য তাকে পাঁচবার ড্রেসিং করতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ তথ্য জানান ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো সুন্দর পরিবেশ, হাজার হাজার শিক্ষার্থী। মঞ্চে এত ভিড়, ধারণ করতে পারেনি। আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেন। আমার পাঁচ পাঁচবার ড্রেসিং করতে হয়েছে। আমিতো সেটা বলিনি। এসব নিয়েই আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে আমি যাচ্ছি। প্রতিদিন পার্টি অফিসে আসি। দল করলে দলের শৃঙ্খলা মানতে হবে।

আরও পড়ুন : সংসদকে ছোট করতে হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে বিএনপি : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পেছনে এত লোক কেন দাঁড়িয়েছেন? আমাদের এত নেতার দরকার নেই। সরে যান। ছাত্র নেতারা এত বড় নেতা হয়ে গেছেন? তারা মঞ্চে কেন? এটা আওয়ামী লীগের মিটিং। আমি যখন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলা তখন আওয়ামী লীগের মঞ্চ হতো বায়তুল মোকাররমের সামনে। আমি সভাপতি হয়ে একদিনও মঞ্চে উঠতে পারিনি, বক্তৃতা-তো দূরের কথা। আর এখন আমার ছাত্র ভাইদের জ্বালায় মঞ্চ ভেঙে পড়ে। সব প্রাক্তন নেতা!

তিনি বলেন, দলের মধ্যে থেকে, সরকারের মধ্যে থেকে, দলের পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, মাস্তানি, জমি দখল, এসব যারা করবে, মাদক ব্যবসা যারা করবে, যারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সঙ্গে আছে তাদের আওয়ামী লীগ করার সুযোগ নেই।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সকল থানা ও ওয়ার্ডের কমিটি দ্রুত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা কমিটিগুলো দিয়ে দেন। আওয়ামী লীগের লোকের অভাব নেই, আওয়ামী লীগের বহুলোক, ডাক দিলেই হাজার হাজার লোক। আওয়ামী লীগে খারাপ লোক এনে পার্টির নেতা করার কোনো দরকার নেই। একটা খারাপ লোক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। একটা খারাপ লোকের জন্য গোটা পার্টির দুর্নাম হয়।

তিনি বলেন, নামাজ হচ্ছে মসজিদে আযান দিচ্ছে, স্লোগান দিয়ে যাচ্ছে, তখন যে মানুষগুলো কষ্ট পাচ্ছে, আমরা নামাজ পড়ি, আওয়ামী লীগের ছেলেরা স্লোগান দিচ্ছে। এগুলো শিখতে হবে। এসব বিষয়ে ট্রেনিং দিতে হবে। বাজে লোকের প্রয়োজন নেই, ভালো লোকের দরকার। ভালো লোক দিয়ে কমিটি করুন। ত্যাগী লোকদের দিয়ে কমিটি করুন।

সমাবেশের শুরুতেই ওবায়দুল কাদের সমাবেশস্থলে উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কেমন আছেন? জানি একটু ভালো নেই। আমরা পরিস্থিতিকে অস্বীকার করছি না। শেখ হাসিনা দিন রাত পরিশ্রম করছেন যাতে করে আপনাদের দুঃসময় কেটে যায়। শেখ হাসিনা রাত জেগে মানুষের কথা ভাবেন।

তিনি বলেন, খেলা-তো হবেই। বিএনপির উঁচু গলা নিচু হয়ে গেছে। কী খেলবো তাদের সঙ্গে? বিএনপিকে বলি, ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দারের সঙ্গে খেলতে চাই না। সেই রকম পার্টি দরকার, প্রতিপক্ষ দরকার।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মহিউদ্দিন জালাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ। শান্তি সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ। 

এমএসআই /এসকেডি