করোনা মহামারির পর এবার শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালো আওয়ামী যুবলীগ। বিগত বছরগুলোর মত এবারও শীতের প্রারম্ভিক পর্যায়ে শীতার্ত মানুষের মাঝে ১,৫৫,৩৫০টি কম্বল এবং ২য় পর্যায়ে আরও ১,৫৩,০১০টি কম্বল বিতরণ করেছে যুবলীগ। দুই ধাপে সর্বমোট ৩,০৯,৩৬০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যটি জানানো হয়েছে।

যুবলীগের মানবিক কার্যাবলী অব্যাহত রাখতে শীতের তীব্রতা যখন প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে তখনও যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

গত বছরের ২১ নভেম্বর যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে সফল করার উদ্দেশে যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিশেষ বর্ধিত সভা শেষে ১০০০ জন শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে দেশব্যাপী যুবলীগের শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। গত ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রামে প্রস্তুতি সভা শেষে চট্টগ্রামের সিআরপি চত্বরে যুবলীগের পক্ষ থেকে ১০০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে গত ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি যুবলীগের ৭ সদস্য বিশিষ্ট সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপির নেতৃত্বে উত্তরবঙ্গের দিনাজপুরে ৪ হাজার, পঞ্চগড়ে ২ হাজার, নীলফামারীতে ২ হাজার ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ হাজার শীতার্ত মানুষের শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় এবং ২য় পর্যায়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুড়িগ্রামে ১ হাজার, লালমনিরহাটে ১ হাজার, রংপুরে ১ হাজার, গাইবান্ধায় ১ হাজার, জয়পুরহাটে ১ হাজার, জামালপুরে ১ হাজার ও শেরপুর জেলায় ১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়।

এছাড়াও শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের আহ্বানে দেশব্যাপী যুবলীগের নেতাকর্মীরা শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছেন। শীতের প্রথম পর্যায়ে ও ২য় পর্যায়ে যুবলীগের পক্ষ থেকে তিন লাখেরও অধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে দুই ধাপে যুবলীগের কম্বল বিতরণের তালিকা: কেন্দ্রীয় যুবলীগ ৩৯৬০০টি, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ১৩২০০টি, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ ১৫০০টি, রংপুর জেলা ৫৫০০টি, রংপুর মহানগর ২৫০০টি, পঞ্চগড় জেলা ২৫০০টি, লালমনিরহাট জেলা ৩২০০টি, দিনাজপুর জেলা ৫৩০০টি, কুড়িগ্রাম জেলা ৩২০০টি, নীলফামারী জেলা ১০০০টি, ঠাকুরগাঁও জেলা ১৩০০০টি, গাইবান্ধা জেলা ৪০০০টি, রাজশাহী জেলা ১৪০০টি, নাটোর জেলা ৬৫০০টি, পাবনা জেলা ১১০০০টি, বগুড়া জেলা ১৫১০০টি, জয়পুরহাট জেলা ৫২০০টি, নওগাঁ জেলা ২৫০০টি, খুলনা জেলা ৫০০টি, খুলনা মহানগর ২০০০টি, যশোর জেলা ৯৭০০টি, কুষ্টিয়া জেলা ৭১০০টি, মেহেরপুর জেলা ১০৫০০টি, মাগুরা জেলা ৪০০০টি, ঝিনাইদহ জেলা ৫০০টি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ১০০০টি, ফরিদপুর জেলা ২৫০০টি, মাদারীপুর ১৪০০টি, শরীয়তপুর জেলা ১০০০টি, মুন্সিগঞ্জ জেলা ১২০০টি, ঢাকা জেলা ১১০০টি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ৭০০টি, নরসিংদী জেলা ১০০০০টি, টাঙ্গাইল জেলা ৫০০টি, মানিকগঞ্জ জেলা ৩০০০টি, গাজীপুর জেলা ৫০০০টি, গাজীপুর মহানগর ৪৫০০টি, ময়মনসিংহ জেলা ৩৮০০টি, ময়মনসিংহ মহানগর ২০০০টি, জামালপুর জেলা ২৭০০টি, নেত্রকোনা জেলা ৩৫০০টি, শেরপুর জেলা ২৬০০টি, পটুয়াখালি জেলা ৬৫০০টি, বরগুনা জেলা ১৫৮০টি, কুমিল্লা উত্তর জেলা ১৫০০টি, কুমিল্লা মহানগর ৪২৯০টি, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ৫০০০টি, লক্ষ্মীপুর জেলা ৪৫৯০টি, ফেনী জেলা ৩৫০০টি, নোয়াখালী জেলা ৬০০০টি, চাঁদপুর জেলা ২০০০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৭৭০০টি, চট্টগ্রাম মহানগর ১৬৫০০টি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ৫৫০০টি, সুনামগঞ্জ জেলা ১৫০০টি, মৌলভীবাজার জেলা ৭০০টি, সিলেট জেলা ৩৫০০ ও সিলেট মহানগর ২০০০টিসহ সর্বমোট ৩,০৯,৩৬০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

এমএসআই/এফকে