তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশকে প্রধানমন্ত্রী সাজাতে চান। আমরা দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চাই। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ জয় করতে সক্ষম হয়েছি। দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও আমরা বহু দূরে এগিয়ে গেছি। আমরা বাংলাদেশকে একটি মানবিক এবং সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-পোর্ট লিংক রোডে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ফুল উৎসব উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা নিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ প্রায় শেষ। এটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে প্রথম সড়ক টানেল। এত দীর্ঘ টানেল উপমহাদেশের আর কোথাও নেই। সেটি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটির ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ শুরু হয়েছে। উড়াল সড়ক হয়েছে, আরও হচ্ছে। গত ১৪ বছরে এভাবে চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন সাধন হয়েছে। এছাড়া আরও অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, একটি শহরকে নান্দনিক করতে হলে প্রকৃতির সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। প্রকৃতির সঙ্গে যদি উন্নয়নের সমন্বয় ঘটানো না হয়, তাহলে সেখানে নান্দনিকতা থাকে না। ইট-পাথর কংক্রিটে পরিণত হয়েছে অনেক শহর। তবে চট্টগ্রামকে এখনো নান্দনিক রাখার সুযোগ রয়েছে।

ফুলের মেলার আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রের পাড়ে এরকম নয়নাভিরাম একটা জায়গায় বিস্তৃত জলাশয় এবং চারপাশে গাছপালা রয়েছে। এখানে স্বাভাবিকভাবে অনেক পর্যটক আসেন। তাদের জন্য এটি একটা বাড়তি পাওনা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের জন্যও একটা বাড়তি পাওনা। আমি আশা করব, এ জায়গাটাতে প্রতিবছর তিন মাসব্যাপী পুষ্প মেলা হবে। এ মেলা শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারাদেশের মানুষের আকর্ষণ হবে। প্রয়োজনে এখানকার জলাধারে ভাসমান ফুলের বেড করা যায়।

আওয়ামী লীগ পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজপথে দেখলে ওদের গায়ে কাঁটা বিদ্ধ হয়। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, দেশে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে আছে এবং থাকবে। বিএনপির কর্মসূচির দিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি এবং শান্তি সমাবেশ করছি। কারো সঙ্গে পাল্টা কর্মসূচি আমরা দিচ্ছি না। আমাদের স্বাভাবিক কর্মসূচি আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহাবুবুল আলম ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ।

এমআর/এফকে