রোববার সকাল থেকে নতুন রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমার নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল নির্বাচন কমিশন।

এদিন সকাল সোয়া নয়টার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম নির্বাচন ভবনে এসে সরাসরি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচনী কর্তার কক্ষে খোঁজ নেন।

একে একে নির্বাচন কমিশনাররাও ইসিতে আসতে থাকেন। সোয়া দশটার দিকে সিইসিও আসেন। নির্বাচন কমিশনাররাও সিইসির সঙ্গে আলাপ করতে আসেন। পরে তিনি নির্বাচনী কর্তার নির্ধারিত কক্ষের নির্দিষ্ট আসনে অপেক্ষা করেন। সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিন বেলা ১১ টার আগে আওয়ামী লীগের প্রধান হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এসে নির্বাচনী কর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল আসেন; সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন।

এসময় তাকে সবাই ঘিরে ধরে এগিয়ে নিয়ে আসেন। স্মিত হাস্যে মো. সাহাবুদ্দিন জানান দিলেন তিনিই প্রার্থী।

নির্বাচন ভবনে চার তলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীকে নিয়ে বসেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সঙ্গে মনোনয়নপত্র নেওয়া হয় এ কক্ষে।

রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রার্থী। এসময় গণমাধ্যমের চাপ থাকলেও কাউকে প্রবেশ কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না; তাকে ঘিরে একরকমই প্রটোকল লক্ষ করা যায়। এরই মধ্যে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র নিয়ে নির্বাচনী কর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়।

মনোনয়নপত্র জমার সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ প্রতিনিধি দলের সবাই উপস্থিত ছিলেন।

এরপর সাড়ে ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে গণমাধ্যমের কাছে নতুন রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর পরিচিতি তুলে ধরেন।

পরে প্রার্থীসহ প্রতিনিধি দল বের হয়ে যান। গণমাধ্যকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নির্বাচন ভবনের নিচে মো. সাহাবুদ্দিন শুধু একটি বাক্যই বলেন, “সবই সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছা।”

এসআর/এমজে