ফাইল ছবি

কোনো বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে দেশে নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

তিনি বলেন, বিএনপি এখন চাচ্ছে লাশের রাজনীতি করতে। সঠিক নির্বাচন হলে ১৫১ সিট তারা পাবে না। তাই তারা লাশের রাজনীতি করে নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে। আমি তাদের বলতে চাই, নির্বাচন হবে জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই এবং নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটা অবাধ, নিরপেক্ষ এবং যথাযথ পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বিক্ষোভ মিছিল পরিচালনা করেন।

শেখ পরশ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি বিভিন্ন অপচেষ্টা করবে। তারেক জিয়া চাচ্ছেন, বাংলাদেশে যেন নির্বাচনটা না হয়। কারণ, তিনি মানি লন্ডারিং মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাও তার বিরুদ্ধে চলছে। 

তিনি আরো বলেন, বিএনপির পদযাত্রায় কোন জনসম্পৃক্ততা নাই, কারণ তাদের অত্যাচারের কথা জনগণ ভুলে নাই। ২০১৪ সালের অগ্নিসংযোগের কথা জনগণ ভুলে নাই। সার ও বিদ্যুতের জন্য কৃষকদের উপর গুলির কথা জনগণ ভুলে নাই। এজন্য তারা হতাশায় ভুগেছে এবং সেই হতাশা থেকে তারা দিকবিদিক হারিয়ে ফেলেছে। তাদের সন্ত্রাসী চেহারা বের হয়ে আসছে। আসলে কিছু কিশোর গ্যাং এবং শিবিরের কর্মী দিয়ে তাদের মিছিল-মিটিং গরম করবে আর কত দিন?

যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি জনগণের কোন আস্থা নাই। কারণ তারা প্রতারক গোষ্ঠী, জনগণের ভোট পাইলে জনগণকে ভুলে যেতে তাদের দুই সেকেন্ডও লাগে না।

তিনি আরও বলেন, আমি আহ্বান করতে চাই আপনাদের কাছে এবং একই সাথে বিএনপির নেতৃবৃন্দদেরকেও চ্যালেঞ্জ করতে চাই যে অনুগ্রহ করে ২০০১ সালে তাঁদের নির্বাচনী ইশতিহার বের করে দেখান কয়টা ভোটারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা পূরণ করেছিলেন। তাহলেই প্রমাণিত হয়ে যাবে যে তারা প্রতারণার রাজনীতি করে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের রাজনীতি করে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণের পাশে থাকার কাজ অব্যাহত রাখব এবং জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপোসহীন, ভ্যানগার্ড হিসেবে আমরণ সজাগ এবং সরব দৃষ্টি রাখব এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করবো। 

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাত একটি জঙ্গি সংগঠন, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংগঠন দেশকে ভালবাসে না, দেশের মানুষকে ভালবাসে না। এই সংগঠন যখনই রাজপথে এসেছে তখনই মানুষের জানমালের উপর হামলা হয়েছে। 

তিনি বলেন, বিএনপি যেকোন সময় মানুষের উপর হামলা করে জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে। তাদের অতীত ইতিহাস সে কথাই বলে। ’৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাদের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার হোতা বিএনপির তারেক জিয়া। তাদের শাসন আমলের ভয়াবহ ইতিহাস বাংলার মানুষ জানে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ জনগণের জানমালের সম্পদ রক্ষায় ঢাল হয়ে রাজপথে থাকবো যেন, বিএনপি জামাত মানুষের উপর হামলা করতে না পারে। আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারে। গত ১১ তারিখে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ যদি মাঠে না থাকে বিএনপি-জামাত মাঠে এসে জনগণের উপর হামলা করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে। আমরা যুবলীগ আজ শপথ করে বলতে চাই প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে সেই অগ্রযাত্রা বিএনপি-জামাত রুখতে পারবে না। জীবন দিয়ে হলেও আমরা যুবলীগ রাজপথে থেকে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মোকাবিলা করবো।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. হাবিবুর রহমান পবন, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহা: বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা: মো. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ ও উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমুখ। 

এমএসআই/এমজে