সরকার জাতিকে অশিক্ষা-কুশিক্ষা দিয়ে দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। 

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ‌‘বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা : সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক ফোরাম।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, আদিম সমাজে মানুষ যেভাবে বসবাস করত আর আজকের সভ্য সমাজে যেভাবে বসবাস করে, এই দুইয়ের মধ্য যে ব্যবধান তা দিয়েছে শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষা মানুষকে পরিবর্তন করেছে। জঙ্গলে বসবাস করা আদিম মানুষকে আজকের সভ্য সমাজে নিয়ে আসাই শিক্ষার মূল কথা।

আজকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এমন কিছু হচ্ছে যেটা আবার সভ্য সমাজ থেকে মানুষকে আদিম সমাজে নিয়ে যাচ্ছে, তাহলে আমরা কোন শিক্ষাব্যবস্থাকে বরণ করছি বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি। মঈন খান বলেন, আজকে সরকার কোন শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন করেছে, সেটা প্রত্যেক নাগরিকের প্রশ্ন। শুধু শিক্ষক সমাজ নয়, প্রত্যেক সাধারণ মানুষকে এই শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। 

নতুন সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম নিয়ে কারা ছিনিমিনি খেলা করছে, তাদের উদ্দেশ্য কি সেটা জানা দরকার বলে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন,  প্রতিটি দেশে একটা নিজস্ব চিন্তাধারা, ধর্ম, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি থাকে। তার পরিপন্থি কোনো কিছু সেই দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটা ভালো না। এখন সেটাই হচ্ছে আমাদের ওপর।

সরকার কথায়-কথায় আমেরিকা-যুক্তরাজ্য নিয়ে উদাহরণ দিয়ে থাকে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আমেরিকা, যুক্তরাজ্য নিয়ে অনেক উদাহরণ দিয়ে থাকি। তারা কীভাবে শক্তিশালী দেশ। অনেকে উত্তর দেয়, তারা ধনী দেশ। আমি বলি না। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০০ টির মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। কিন্তু প্রথম ১০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ৫০ থেকে ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয় আমারিকার। এর দ্বারা প্রমাণিত আমেরিকা অর্থ এবং শিক্ষা সবক্ষেত্রে শক্তিশালী।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহছানুল হক মিলন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান প্রমুখ।

 এএইচআর/এমএইচএন/এমএ