ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দেশে ফেরা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিনি দেশে আসবেন, অসুবিধা কী? এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।

ভারত ও কাতার সফর শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

চলতি মাসের শুরুর দিকে জি-২০ মন্ত্রীদের সম্মেলন এবং রাইসিনা ডায়লগে যোগ দিয়েছিলেন ড. মোমেন। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোমেন। বৈঠকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে দেশে ফেরানো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ভারতে কারো সঙ্গে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের বিষয়ে আলোচনা হয়নি। এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। বিদেশে বাংলাদেশের কেউ জেল খাটলে, সাজা ভোগ করে দেশে ফিরে আসেন। সালাহউদ্দিন আহমেদও আসবেন।

অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের দেশে ফিরতে বাধা নেই বলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রায় দিয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। ওই বছরের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলংয়ের পুলিশ। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে সালাহউদ্দিনকে খালাস দেন ভারতের একটি আদালত। তবে আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে থেমে যায় সালাহউদ্দিনের দেশে ফেরা। প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

সালাহউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।

এনআই/এমএ