বিদেশ পলাতক আসামি তারেক জিয়ার এপিএস নুর উদ্দিন আহমেদ অপুর পক্ষে আইনি লড়াইয়ের অপরাধে অ্যাড. কামরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) শাহবাগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানুল হক মিনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহারউদ্দীন বাহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মুকিম সেন্টু, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কানিজ ফাতেমাসহ প্রমুখ।

মানববন্ধনে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কামরুল ইসলাম তারেক জিয়ার এপিএস অপুর পক্ষে আইনি লড়াই করতে পারেন না। শেখ হাসিনার নিকট আহ্বান অবিলম্বে অ্যাড. কামরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হোক। তারেক জিয়ার এপিএস অপুর অঢেল অর্থের কাছে তিনি তার দলীয় নীতি ও আদর্শ বিক্রি করেছেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কখনোই তার এ ধরণের আওয়ামী আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড মেনে নিবে না।

আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী ও মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূলহোতা তারেক জিয়ার এপিএস নুর উদ্দিন আহমেদ অপুর জামিনের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে অ্যাড. কামরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বেইমানি করেছেন। তারেক জিয়ার এপিএস অপুর সঙ্গে তার যোগাযোগ দেখে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। বিদেশে পলাতক আসামি খুনি তারেক জিয়ার সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নিকট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি- আওয়ামী লীগের আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় অ্যাড. কামরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগ থেকে অবিলম্বে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক। যেন ভবিষ্যতে কেউ টাকার বিনিময়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে কথা বলার সাহস না দেখায়।

নাট্য অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানুল হক মিনু বলেন, বারবার দাবি করা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তারেক জিয়ার দালাল অ্যাড. কামরুলকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। জঙ্গি ও সন্ত্রাসের মদদদাতা তারেক জিয়ার এপিএস অপুর জামিনের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে অ্যাড. কামরুল ইসলাম প্রমাণ করেছেন- তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থেকে তিনি তারেক জিয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় রাজপথে আমরা আরও বড় কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবো।

ওএফএ/এমজে