আমরা যারা বিএনপি করি তারা আতঙ্কিত
ফাইল ছবি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা যারা বিএনপি করি, বিরোধী দল করি, জাতীয়তাবাদ করি, আমরা যারা সার্বভৌমত্বের কথা বলি, স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলি এখন আমরা আতঙ্কিত, অত্যাচারিত।
আজ (শনিবার) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অধ্যাপক এম. এ. মান্নান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুরের সাবেক মেয়র এবং বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম. এ. মান্নানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য হচ্ছে তারা স্বচ্ছতা, সুষ্ঠু এবং অবাধ এই শব্দগুলোর সাথে পরিচিত নয়। সহ্য করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে পঙ্গু করার জন্য নিঃশেষ করার জন্য এই সরকার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের গুরুদের সহায়তায় রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা দিয়ে মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিনের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড বাধা।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমাবেশ ঘিরে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসা শুরু করলে উৎসবের একটা পরিবেশ তৈরি হলো। পার্টি অফিসের ভেতর আমরা আছি, সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করছিল। কোনো ধরনের সংঘাতের চিহ্নমাত্র ছিল না। একটা উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ডিবি অফিস থেকে শুরু করে সরকারের সকল বাহিনী নেকড়ের মতো হামলে পড়ল পার্টি অফিসে।
প্রায় ৪ মাস কারাগারে থেকে মুক্তি পাওয়া রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের শান্তিতে থাকতে দেয়নি। কারাগারে আমাদের নিচে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। অথচ আইন হচ্ছে যারা এমপি পদমর্যাদার তারা সরাসরি ডিভিশন পাবে। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ সবাইকে সাধারণের মতো এক জায়গায় রাখে। কারা কর্তৃপক্ষ দেখে আমাদের সঙ্গে কেউ কথা বলছে কি না। কারাগারের ভেতর তারা আরেকটা কারাগার তৈরি করেছে।
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ. কে. এম. ফজলুল হক মিলন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো প্রমুখ।
এমএইচএন/এনএফ