ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যে যখন সারাবিশ্ব স্তব্ধ ছিল, জননেত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকসহ সব পেশাজীদের প্রণোদনার অর্থ দিয়ে জীবন ও জীবিকা চালিয়ে রেখেছিলেন। অন্যদিকে বিএনপি সারের দাবিতে ২০ কৃষককে হত্যা করেছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতের দাবিতে ১৮ জনকে হত্যা করেছিল। জুটমিল খুলে দেওয়ার জন্য শ্রমিকরা যখন আন্দোলন করেছিল তখন ২০ জন শ্রমিককে হত্যা করেছিল।

সোমবার (১ মে) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। 

তাপস বলেন, ২০০১ সালে সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে ২০০২ সালে শ্রমিকবিরোধী, জনগণ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। আদমজি জুট মিল বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের জীবন ধ্বংসে বিএনপি-জামায়াত সরকার লিপ্ত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তাপস।

তিনি বলেন, আদমজি জুট মিল শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান নয়, সারা বিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহৎ পাটকল ছিল, জুটমিল ছিল। সেই জুটমিলকে ২০০২ সালে ৩০ হাজার শ্রমিককে ঘর ছাড়া করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। সেদিনের সেই তাণ্ডব আমাদের কানে এখনো শোনা যায়। 

বিএনপির ২০০১-০৬ সালের দুঃশাসনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্লিন হার্ট অপারেশনের নামে তারা ৯২ জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। আজকে শেখ হাসিনা মায়ের মমতায় শ্রমিকদের আলিঙ্গন দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকরা আন্দোলন করেছিল। তাদের ছাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল, অত্যাচার করা হয়েছিল। আর শেখ হাসিনা গার্মেন্টস শ্রমিকদের দুই দফা বেতন বাড়িয়ে তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করেছিলেন। এভাবে কৃষকদেরকে নিয়ে শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন। 

আরও বক্তব্য দেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। সমাবেশ পরিচালনা করেন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আযম খসরু।

এমএসআই/জেডএস