বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনি (মির্জা ফখরুল) মহাসচিব থাকার বৈধ অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন। আপনি দলের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছেন। দলের জাতীয় কাউন্সিল না করে এক যুগ ধরে ক্ষমতায় আছেন। আপনি নিজেই তো অবৈধ। আপনার দলও অবৈধ। 

শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা (বিএনপি) দলের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছেন। আপনাদের এই দলের কোনো বৈধতা নেই। যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই তারা দেশে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে? তাদের কোনো সম্মেলন হয় না। জেলা সম্মেলন নেই, থানা সম্মেলন নেই, উপজেলায় নেই, কেন্দ্রে তো নেই-ই। সব পকেট কমিটি। লন্ডন থেকে ফরমায়েশি কমিটি। পকেট কমিটি দিয়ে বিএনপির টপ টু বটম চলে।

>>বিষমুক্ত স্বদেশ বিনির্মাণে কাজ করছেন শেখ হাসিনার সরকার

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কথায় কথায় মির্জা ফখরুল কী করে বলেন ‘অবৈধ সরকার’। মির্জা ফখরুল আর বিএনপির নেতাদের লজ্জা করে না এই কথা বলতে? অবৈধ দল কোনটি? বাংলাদেশের অবৈধ দল বিএনপি। অবৈধ ব্যক্তি যে দল গঠন করে ক্ষমতায় থেকে সেই দল কি বৈধ? সেটা অবৈধ দল। তারা অবৈধ দল।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন মানে তো টাকা পয়সার খেলা। এখন বলছে নির্বাচন করবে না। আবার একটি পত্রিকায় দেখলাম রাষ্ট্রপতি ডাকলে আসবে। হামিদ সাহেব ডেকেছেন আসেননি। এখন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সাহেব ডাকলে আসবেন, দেখা যাক। দেখছে তো আর কোনো পথ নেই। সব পথই খোলা রাখবে, কেন? আমাদের সামনে দৃষ্টান্ত আছে না? আছে। নির্বাচন করবে না কিন্তু ঘোমটা পরে করবে। কীভাবে? স্বতন্ত্র মার্কা নির্বাচন। ২৪ জন দাঁড়িয়ে গেছে কাউন্সিলর পদে। মেয়র পদেও দাঁড়িয়েছে। তারা (বিএনপি) নির্বাচন করবে। ধানের শীষ নিয়ে করবে না। দলীয় পরিচয় গোপন রেখে নির্বাচন করবে। কিন্তু সবাই জানে, কারা কারা বিএনপির। আমরা জানি, দেশের মানুষও জানে। সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটাররাও জানে।

সেতুমন্ত্রী আরো বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের রূপরেখা রাজনীতির নয়। তাদের আন্দোলনের রূপরেখা ষড়যন্ত্রের। তারা এখন দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার ফন্দি করছে। 

আরও পড়ুন : আ.লীগের নেতৃত্বে কতজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন, প্রশ্ন ফখরুলের

সিটি নির্বাচনে দলীয় সভাপতির নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ডের নেওয়া সিদ্ধান্ত দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান কাদের। একই সঙ্গে মন্ত্রী, এমপিসহ সংশ্লিষ্টদেরও নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামশুন নাহার চাপা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক দেলোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এমএসআই/এমএ