মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পর জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় আসলেন তখন তিনি সাম্প্রদায়িক ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করেন। স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে সরকার গঠন করেন। তাদের প্রমোশন দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন করেছিলেন। এমনকি ইনডেমনিটি আইনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন।

শুক্রবার (১২ মে) ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধ মিলনমেলা-২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান বলেছিলেন যে রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যুদ্ধ করব না, ওয়ার কাউন্সিলের অধীনে যুদ্ধ করব। তবে আমরা সবাই একই আদর্শে যুদ্ধ করেছিলাম। তবে মুক্তিযুদ্ধে অনেক অনুপ্রবেশকারী ছিল যারা যুদ্ধ করলেও পরে চেতনাবিরোধী হয়ে যান।

মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন কিন্তু তাদের দোসররা দেশে রয়ে গেছেন। দুর্ভাগ্য যে, অনেক মুক্তিযোদ্ধারাও বিরোধীদের পক্ষ করেন। পরাজিত শক্তিরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ, বিপরীতে আমরা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছি। সময় এসেছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকদের এক হওয়ার। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে পরাজিতদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও যেন স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কিছু দাবি রয়েছে। সে দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে। আশা করছি পরবর্তী বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটবে।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকেই আমরা যুদ্ধে গিয়েছিলাম। ৭ মার্চের দিনও বুঝিনি যে ২৫ মার্চ আসতে যাচ্ছে, একমাত্র তিনিই বুঝেছিলেন। দুঃখের বিষয় হলো, দেশ স্বাধীন হলেও আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে ফেলেছি। কিছু কুলাঙ্গার বাঙ্গালিরাই তাকে সরিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রথম কল্যাণ ট্রাস্ট তৈরি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার মৃত্যুর পরে মুক্তিযোদ্ধারা চাকরির ক্ষেত্রে তাদের সার্টিফিকেট দেখাতে ভয় পেত। আজকের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-নাতিরা সার্টিফিকেটের মাধ্যমে কোটা সুবিধা পায়। এই সুবিধা তারা ২১ বছরেও পায়নি, পেয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই।

মাহবুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।

ওএফএ/এমএ