২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

তাদের ভাষ্যমতে, এ বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে যে ওয়াদা করেছিলেন, এই বাজেট সেই ওয়াদা বাস্তবায়নের অংশ। দেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাসের উপযোগী একটি স্মার্ট রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার এ বাজেট জাতির কাছে উপস্থাপন করেছেন। এই বাজেটে দেশের ধনী, গরিব মধ্যবিত্ত সবাই উপকৃত হবেন।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে বাজেট পেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতারা এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জনগণের কল্যাণ ও মঙ্গল চিন্তা করেই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ বাজেটের ফলে আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার সহায়ক হবে। এই বাজেট সময়োপযোগী ও জনকল্যাণমুখী। বিশ্ব অর্থনীতি যখন মন্দা, সে মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সময় উপযোগী বাজেট দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, এই বাজেটের মাধ্যমে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট নগরায়ণ এবং স্মার্ট জনগণ গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। 

তিনি বলেন, বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া নিম্নবিত্ত মানুষ যাতে সমান তালে এগিয়ে যেতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে বাজেট ঘোষণা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা যেন উপকৃত হন সে দিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এতে করে বেকারত্ব কমবে, উদ্যোক্তা বাড়বে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দুই বছরের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে এবারের বাজেট।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান টালমাটাল বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির দুঃসময়ে একটি বাস্তবভিত্তিক গণমুখী বাজেট প্রণয়ন করা অতি দুরূহ বিষয়। অভিজ্ঞ, দক্ষ, জ্ঞানতাপস রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সরকার সেই অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০'র আলোকে উন্নয়ন ও জনজীবন উন্নত করার বাজেট পেশ করা হয়েছে। এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশ ও জনগণ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

প্রস্তাবিত বাজেটের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাজার সিন্ডিকেট ধ্বংস করে দ্রব্যমূল্য সরকার কতোটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, এর ওপর নির্ভর করবে বাজেটের সফলতা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় দ্রব্যমূল্য কীভাবে কমবে তা বাজেটে অস্পষ্ট। আমার যেটা মনে হয়েছে যে, অর্থমন্ত্রী তার উন্নয়নের কথামালা দিয়ে বর্তমান বাস্তবতাকে অস্পষ্ট করে দিয়েছেন। যে চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের সামনে রয়েছে; বাজারে মূল্য বৃদ্ধির ঘটনাগুলো ঘটছে, সেটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে এটা খুব একটা স্পষ্ট আকারে এসেছে বলে মনে হয়নি। ফলে চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা হবে এটা বেশ দুষ্কর ব্যাপার হয়ে গেল বলে মন হয় আমার কাছে।  

এমএসআই/এসকেডি