জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে চলমান সহিংসতা, সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে পুলিশের গুলিতে যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, এর দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’ মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে যদি কোনো মহলের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়, এর মীমাংসা রক্তাক্ত পথে হতে পারে না। সরকারের নীতি, কর্মকাণ্ড এবং আচরণের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনে এরই বহির্প্রকাশ ঘটেছে। এই কয়েকদিনের বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটে গেছে। এটি অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং নিন্দনীয়।’

সরকারের উদ্দেশে জিএম কাদের বলেন, ‘অনতিবিলম্বে চলমান বিরোধ ও সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। গত কয়েক দিনের ঘটনায় যারা নিহত বা আহত হয়েছেন তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকারকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, দমন-পীড়নে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। আশা প্রকাশ করি, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।’

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ মিছিল করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্ররাও বিক্ষোভ করে। সেখানে পুলিশের গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও আন্দোলনে নামে হেফাজতের নেতাকর্মীরা সেখানেও সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু হয়।

এসব ঘটনাকে শনিবার (২৭ মার্চ) বিক্ষোভ ও রোববার (২৮ মার্চ) হরতাল পালন করে ইসলামপন্থি সংগঠনটি। সবমিলিয়ে হেফাজতের এ আন্দোলনকে ঘিরে তাদের ১৭ নেতাকর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। 

এএইচআর/এফআর