বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার মুক্তির দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। গত ২ আগস্ট গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ‘ক্র্যাব’-এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইয়ামিনের মুক্তির দাবি জানান তার বাবা-মা।

বিন ইয়ামিন মোল্লার পিতা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২ আগস্ট রাত ২টায় ডিবি পুলিশ নুরুল হক নুরের বাসায় কথিত অভিযান চালিয়ে আমার সন্তান বিন ইয়ামিন মোল্লাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেপ্তার করে। বিন ইয়ামিনকে গ্রেপ্তারের আগে তারা আমাকে মোহাম্মদপুর থেকে আটক করে ৮ ঘণ্টা ডিবির গাড়িতে বসিয়ে রাখে। এছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানকে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে মানসিক নির্যাতন করে। নাজমুল ও আমাকে একই গাড়িতে বসিয়ে ডিবি পুলিশ বিন ইয়ামিনকে খুঁজতে থাকে। ইয়ামিনকে আটকের পর তারা ভোরের দিকে আমাকে ও নাজমুলকে ছেড়ে দেয়।

আরও পড়ুন : ২০২১ সালের মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিমান্ডে

তিনি বলেন, বাবার চোখের সামনে সন্তানকে গ্রেপ্তার করা- এ যেন পাকিস্তান আমলের বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা। বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথিত অপরাধে একজন বাবাকে ধরে নিয়ে, তার সন্তানকে খোঁজা হচ্ছে। বাবার সামনে সন্তানকে গ্রেপ্তার করে আতঙ্কিত ও ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। যাতে আর কোনো বাবা তার সন্তানকে রাজনীতি করতে না দেয়।

রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার সন্তানের অপরাধ সে ১৯৯০-এর মতো ছাত্রদের ঐক্যের আহ্বান করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিল। আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করিমের হত্যার বিচার ও বুয়েটের ৩৪ জন শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যাতে ত্বরান্বিত না হয়, সে কারণেই আমার সন্তানকে আটক করা হয়েছে। পুরাতন একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমি আমার সন্তানের দ্রুত মুক্তি চাই।

সংবাদ সম্মেলনে নুরের সহযোগী রাশেদ খানসহ গণঅধিকার ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ওএফএ/এসকেডি