৭৪ দিন ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এই দীর্ঘ সময়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার একাধিকবার অবনতি হয়। ফলে, বারবার তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করতে হয়েছে। বর্তমানেও তার স্বাস্থ্যের অবস্থা কখনও অবনতির দিকে যাচ্ছে আবার কখনও স্থিতিশীল থাকছে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বলছেন, গত ১৯ অক্টোবর রাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর কিছুটা স্থিতিশীল হলে তাকে আবার কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সবশেষ ২ দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি কিংবা উন্নতি কোনটাই হয়নি।

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২ দিন ম্যাডামের স্বাস্থ্যের উন্নতি কিংবা অবনতি কোনটাই হয়নি। তবে, ২ দিন আগে তার স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতি হয়েছিল। আসলে, দেশে তো তার আর কোনো চিকিৎসা সম্ভব নয়। এখন চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন, কীভাবে তার রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। 

কবে খালেদা জিয়া বাসায় ফিরতে পারবেন জানতে চাইলে ডা. রফিক বলেন, এটা তো বলা সম্ভব নয়। কারণ তার যে স্বাস্থ্যের অবস্থা, সেখানে তাকে হাসপাতালে রেখেই কোনো রকম চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় তাকে বাসা নিয়ে আসা সম্ভব বলে মনে হয় না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি (খালেদা জিয়া) কেবিনে আছেন। তার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল।

প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত, চোখের প্রদাহ, হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। এছাড়া তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একটিতে রিং পরানো হয়েছে।

এদিকে, অসুস্থ হওয়ার পর শাশুড়িকে দেখতে লন্ডন থেকে দেশে আসেন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দ শর্মিলা রহমান সিঁথি। বর্তমানে প্রতিদিন নিয়ম করে বড় একটা সময় হাসপাতালে শাশুড়িকে সময় দেন তিনি। এছাড়া দাদিকে দেখতে গত ১৬ অক্টোবর রাতে লন্ডন থেকে আসেন কোকোর বড় মেয়েও।

এএইচআর/এসএম