ভুনা খিচুড়ি দিয়ে আহার করছেন নেতাকর্মীরা, উচ্ছ্বসিত রিকশাচালকরাও
ফকিরাপুল মোড়ের দিক থেকে একটি কার্গো ভ্যান এসে থামল নয়াপল্টন জামে মসজিদের সামনে। কার্গো ভ্যানের পেছনের দরজা খুলে উঠে পড়লেন কয়েকজন নেতাকর্মী। এর মধ্যে সামনে সিরিয়াল নিয়ে অপেক্ষা কয়েকশো মানুষের। মূলত এই ভ্যানে করে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থাকা নেতাকর্মীদের জন্য এসেছে রাতের আহার।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এরপরই একে একে ওয়ান টাইম প্লেটে খিচুড়ি পরিবেশন করা হয় কর্মীদের জন্য।
বিজ্ঞাপন
এ সময় নেতাকর্মীদের জন্য নিজ হাতে খিচুড়ি পরিবেশন করতে দেখা যায় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীকে। এ খিচুড়ি দিয়েই রাতের আহার সারছেন তারা। তবে কে বা কারা খিচুড়ি পাঠিয়েছে সেটি তাৎক্ষনিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
তবে কেরানীগঞ্জ থানার যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শরীফ বলেন, আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষের এই খাবার নিয়ে এসেছি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা এ খিচুড়ি নিয়ে এসেছি।
আরও পড়ুন
এদিকে রাত ৮টার পর ২০টি শর্ত জুড়ে দিয়ে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার। এরপরই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস বেড়ে যায়। কার্যালয়ের সামনের রাস্তার দুপথ ধরে যত রিকশাচালক যাচ্ছেন সবাইকে জিয়ার সৈনিক বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সরেজমিন আরও দেখা যায়, নয়াপল্টন সড়কের বিএনপি কার্যালয়ে সামনের অংশে এসেই রিকশা চালকরা হাত তুলে বিএনপিকে সমর্থন দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের কেউ কেউ আবার সেই ভ্রাম্যমাণ নৈশভোজে অংশ নিচ্ছেন।
টাঙ্গাইল থেকে আসা বিএনপি কর্মী তাজুল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সন্ধ্যার আগে এখানে এসে পৌঁছেছি। এরপর আর কিছু খাওয়া হয়নি। মাত্র রাতের খাবার খেলাম। সারারাত এখানেই থাকবো।
অপরদিকে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কাকরাইল থেকে ফকিরাপুলমুখী সড়কটি এখন পর্যন্ত সচল আছে।
বিএনপিকে ২০ শর্তে সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড.খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, দলটি নিশ্চিত করেছে তাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। আমরা নিরাপত্তা দিতে চাই ঢাকাবাসীর। আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সহযোগিতা করবে।
ড. খ. মহিদ উদ্দিন আরও বলেন, শর্ত না থাকলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা হতে পারে। শর্তগুলো স্বাভাবিক। কী কী করা যাবে, সমাবেশে কখন আসবে, কখন আসবে না সবকিছুই শর্তে বলা আছে। আর শর্ত না থাকলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা হতে পারে। শর্তগুলো স্বাভাবিক। কী কী করা যাবে, সমাবেশে কখন আসবে, কখন আসবে না সবকিছুই শর্তে বলা আছে।
এমএইচএন/এমজে