বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী ফাতেমাসহ ৯ জন করোনায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন তার ভাগ্নে ডা. মামুন। রোববার (১১ এপ্রিল) খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে দেখে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মামুন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কোনো উপসর্গ নেই। কিন্তু তার গৃহকর্মী ফাতেমাসহ ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তারও পরীক্ষা করা হয়। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে প্রথমদিকে তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কোনো উপসর্গ না থাকলেও জরুরি পরিস্থিতির জন্য রাজধানীর একটি হাসপাতালে আইসিইউসহ কেবিন বুকিং দিয়ে রাখা হয়েছে।‘

ড. মামুন বলেন, ‘গত ৪-৫ দিন আগে ম্যাডামের ব্যক্তিগত স্টাফের জ্বর-কাশি হয়। আমরা তার করোনা টেস্ট করলে রেজাল্ট পজিটিভ আসে। ওই ব্যক্তি যে রুমে থাকতেন, সেখানে আরও ৪-৫ জনের আসা-যাওয়া ছিল। তাদেরও পরীক্ষা করানো হলে রেজাল্ট পজিটিভ আসে। এ কারণে খালেদা জিয়ার উপসর্গ না থাকলেও করোনা টেস্ট করা হয়। 

তিনি বলেন, ’বাসায় অক্সিজেন থেকে সব কিছুর ব্যবস্থা আছে। তার বাসায় সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা আছে।’

এর আগে শনিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে আইসিডিডিআর,বির পক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রোববার তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান নিশ্চিত করেন।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, কয়েকদিন ধরে খালেদা জিয়া জ্বর-ঠান্ডায় ভুগছিলেন। এর প্রেক্ষিতে গতকাল আইসিডিডিআর,বির একটি প্রতিনিধি দল তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন। আজ তার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

কোথায় হবে খালেদার চিকিৎসা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক বলেন, ‘আসলে বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক যে অবস্থা তাতে হাসপাতালেই চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কিন্তু এটা তো আর আমি চাইলে হবে না, কারণ তার চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে আছেন বড় ছেলের বউ। তাকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া সাধারণত ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা করান। এখনও যদি তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়, তাহলে এই হাসপাতালেই নেবেন। সেই অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যোগাযোগ করা আছে।

এএইচআর/জেএস