একাদশ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে বিএনপির কর্মসূচি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পতাকা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিন আগামী ৩০ ডিসেম্বর। দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উল্লেখ করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এদিন একাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল ও পুননির্বাচনের দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘‘৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে এবং একাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল ও পুননির্বাচনের দাবিতে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১ টায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে বিএনপি’র জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।’’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, এছাড়া গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে একই দিন দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হবে।
রিজভীর দাবি, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে। তাই এই দিনটিকে দেশবাসী ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে। পৃথিবীর ইতিহাসে অভাবনীয় রেকর্ড সৃষ্টিকারী রাতে র্যাব-পুলিশের সহায়তায় ব্যালটবাক্স পূর্ণ করে ক্ষমতা দখলের দুই বছর পূর্ণ হবে মঙ্গলবার রাতে। ওই রাতটি দেশবাসীর কাছে ভোটাধিকার হরণের কালো রাত হিসেবে কলঙ্কিত হয়ে থাকবে।
বিজ্ঞাপন
একাদশ সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেররা যা করেছেন তা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে ‘ডার্টি ওয়ার’ বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ গঠন করে ইসির ভোট ডাকাতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার করার জন্য দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ যে দাবি জানিয়েছেন, তাদের সে দাবির পাশাপাশি ভোট ডাকাতির নির্বাচনে গঠিত আওয়ামী সরকারের এই মুহূর্তে পদত্যাগ দাবি করছি।’
এএইচআর/এইচকে