রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়ার সময় জাহিদ হাসান শান্ত (২২) ও তার তথ্যে কুমিল্লা থেকে রফিকুল ইসলাম রফিক (২৭) নামে ছাত্রদলের আরেক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ও বৃহস্পতিবার (৭ডিসেম্বর) ভোররাতে তাদের দুজনকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মাহফুজুল হক ভূঞা। 

তিনি বলেন, ৬ তারিখ রাতে মোহাম্মদপুর থানার ঢাকা উদ্যান আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দেওয়ার প্রস্তুতির সময় হাজারীবাগ থানা ছাত্রদলের সদস্য জাহিদ হাসান শান্তকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শান্তকে জানায় ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে সে এই কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং আগুন দেওয়ার জন্য হাজারীবাগ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রফিক তাকে ৭ হাজার টাকায় কন্টাক্ট করে। কাজটি করার জন্য তাকে অগ্রিম ২ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং কাজ শেষ হলে আরো ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে রফিকুল ইসলাম রফিক।

তিনি আরো জানায়, তার দেওয়া তথ্য মতে মূল পরিকল্পনাকারী রফিকুল ইসলাম রফিককে কুমিল্লা জেলার হোমনা থেকে ভোররাতে আটক করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। 

জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, জাহিদ হাসান শান্তকে টাকা দিয়ে মোহাম্মদপুরের যে কোনো আওয়ামী লীগের অফিস পোড়ানোর জন্য ৭০০০ টাকা কন্টাক্ট করেন।  তাকে দুই হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। আগুন ধরিয়ে দিতে পারলে পরবর্তীতে আরো পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল শান্তকে।

রফিকুল ইসলাম রফিক আরো জানায়, শান্তর আটকের বিষয়টি আমি জানতে পেরে আমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনায় চলে যাই। সেখান থেকে পুলিশ আমাকে আটক করে।

ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল তাদের দুজনকে আদালতে হাজির করা হবে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই নাশকতার মামলা রয়েছে। রফিকুল ইসলাম রফিকের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার কলাকান্দি গ্রামে এবং জাহিদ হাসান শান্তর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার তারাপাল্লা এলাকায়।

এসএএ/এমএসএ