আগামী ৭ জানুয়ারির অনুষ্ঠিতব্য ‘একতরফা’ নির্বাচন দেশকে ভয়াবহ বিপদের দিকে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

তারা বলেন, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল ধ্বংস করে পুরো রাষ্ট্রকে পারিবারিক সম্পত্তিতে পরিণত করছেন শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) কাওরানবাজার পেট্রোবাংলার সামনে ভোট বর্জনের দাবিতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ পূর্ব সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। পরে সেখান থেকে কাঁটাবন মোড় পর্যন্ত মিছিল, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন মঞ্চের নেতারা।

মঞ্চের নেতারা বলেন, সারাদেশ তুষের আগুনে পুড়ছে। চারদিকে বারুদের স্ফুলিঙ্গ যে কোনো সময় ফেটে পড়বে৷ আমাদের পুলিশ বাঁধা দিয়েছে, হামলা করেছে। পুলিশ আমাদের নেতাদের মাটিতে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু আমরা আবার উঠে দাঁড়িয়েছি৷

তারা আরও বলেন, সবার জন্য আওয়ামী লীগ একাই ইশতেহার দিয়েছে৷ সব দলের নেতৃত্ব শেখ হাসিনা নিজে নিয়েছেন৷ রাজনৈতিক দল তার পছন্দ নয়। তার একটা দল থাকবে, বাকিরা হবে সহযোগী সংগঠন। সবাই তার থেকে ভিক্ষার সিট নেবে। শেখ হাসিনা পুরো রাষ্ট্রকে তার পারিবারিক বিষয়ে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের এই দম্ভ টিকবে না৷

সব বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার একতরফা নির্বাচনের প্রায় দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, এখন প্রহসনের ক্ষণটা কেবল মঞ্চস্থ করা বাকি। যে নির্বাচনটাকে জনগণ ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটা নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র করছে সরকার। কাজেই দেশ নিয়ে এসব খেলা জনগণকে রুখে দিতে হবে। দেশে ভাগ বাটোয়ারার এই একতরফা নির্বাচন দেশকে ভয়াবহ বিপদে নিয়ে যাবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে আর গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ প্রমুখ।

এ সময় আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভোট ডাকাতির ৫ বছর ও একতরফা ডামি নির্বাচনে’র প্রতিবাদে সমাবেশ ও গণমিছিল এবং নির্বাচন কমিশনকে লাল কার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

এএইচআর/এসকেডি