তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই জোয়ারে বিএনপির নেতাকর্মীরাও শামিল হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এই নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে এবং তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। 

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী ইউনিয়নের রামগতির হাটে নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তিনি বেতাগীর বড়ুয়াপাড়া, মির্জাখীল, বালুচর এলাকায়ও গণসংযোগ ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন। তথ্যমন্ত্রী আসনটি (চট্টগ্রাম-৭) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এখন ঢাকা-চট্টগ্রাম শহরে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু এই লিফলেট কেউ দেখেও না, কেউ পড়েও না। বিএনপির যারা লিফলেট বিতরণ করে, তারা হঠাৎ বিতরণ করে, আবার হারিয়ে যায়। লিফলেট বিতরণকারীরা এখন ভয়ে আছে। তারা ভয়ে ভয়ে লিফলেট বিতরণ করে, জনগণ কখন তাদের ধাওয়া করে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস করে, পেট্রোল বোমা মারে এবং রেললাইন উপড়ে ফেলে অপচেষ্টা চালিয়েছিল নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য। কিন্তু সেটি তারা করতে পারেনি। এখন চেষ্টা করছে কোনো কোনো প্রার্থীর ওপর হামলা করার জন্য, যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়। সেটিও কখনো সফল হবে না। কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। এই অপরাজনীতিতে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র আছে। শেখ হাসিনা সেগুলোকে মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সে কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা আজকে গর্তের মধ্যে ঢুকে গেছে। বিএনপি গর্তের মধ্য থেকে মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে প্রেস ব্রিফিং করে। ডক্টর মঈন খাঁনসহ কয়েকজন কথা বলেন। বিএনপি কোথায় গেল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন সমগ্র বাংলাদেশে এই পরিস্থিতি। আমি জিজ্ঞেস করলাম বিএনপি নেতারা কই? বলল, কেউ লুকিয়ে গেছে, কেউ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ইন্ডিয়া গেছে। এই হচ্ছে এদের পরিস্থিতি।’ 

নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমি রাঙ্গুনিয়ার জনগণের পাশে থেকে এলাকার উন্নয়ন করার জন্য চেষ্টা করেছি। যারা ভোট এলে লম্বা লম্বা কথা বলেন, তাদের জিজ্ঞাসা করতে হবে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের করা রাস্তাঘাটে যেসব গর্ত হয়, তারা সেইগুলো ভরাট করতে পারবে কি না। তাদের গর্ত ভরাট করার সামর্থ্যও নেই। প্রতিটি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা ৫ থেকে ৭ বার করে বরাদ্দ পেয়েছে। দেশের দশ কোটির বেশি মানুষ ১৮ ধরনের ভাতা পাচ্ছেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে সমগ্র বাংলাদেশে হাটে-ঘাটে, মাঠে আজকে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। একেবারে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে, যার যার ভোট সেই লাইন ধরে দেবে। সেই ভোটে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে।’

এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মেয়র শাহজাহান সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার হোসেন বাবুল ও ইদ্রিছ আজগর উপস্থিত ছিলেন।

এমআর/কেএ