গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘বর্তমানে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। এর আগে জান্তা সরকার সেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন ও হামলা চালিয়েছে। এর ফলে ২০১৭ সালে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হিসেবে হাজির হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা।’

শুক্রবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং অরক্ষিত সীমান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টিকে যেভাবে আন্তর্জাতিকীকরণ করা দরকার ছিল, এ সরকার তার কিছুই করতে পারেনি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে ভারত, চীন এমনকি রাশিয়াও মিয়ানমারের পক্ষে থাকে। কিন্তু তারা বাংলাদেশের পক্ষে থাকে না।’

তিনি বলেন, ‘‘ক্ষমতা নবায়ন করার সাথে সাথে তথাকথিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লিতে কদমবুসি করতে গেছেন। দিল্লিতে গিয়ে তারা যে ক্ষমতায় আছেন, এটার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গেছেন। এ জন্য ভারত আজকে আমাদের দেশের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি নিজেদের বলে দাবি করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি খুবই ক্ষুদ্র একটা ইস্যু। আমরাতো অনেক বড় ইস্যুর সমস্যা সমাধান করে ফেলেছি’।’’

‘ভারতের কাছে তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বাংলাদেশের কোনো স্বার্থের প্রশ্ন বলতে পারেননি। সীমান্তে আমাদের বিজিবি হত্যা করা হয়, কিন্তু প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেন না। আজকে আমাদের দেশের নদীর পানি, বাণিজ্যের স্বার্থ, বাংলাদেশের সমস্ত সম্পর্কের ক্ষেত্রে যতরকম স্বার্থ আছে... সেগুলো তারা বলতে পারেনি।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ সরকার যতদিন আছে, ততদিন পর্যন্ত দেশের কোনো উন্নতি হবে না। এ সরকার ভোট নিয়ে মিথ্যা কথা বলে, দেশ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে, রিজার্ভ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। দেশের সমস্ত জায়গায় আ.লীগের লোকজন সিন্ডিকেট করছে। বিএনপির কোনো লোক সিন্ডিকেট করছে না। আমাদের লড়াই আ.লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা নয়, আমাদের লড়াই হলো জনগণকে সুন্দর একটি দেশ উপহার দেওয়া।

সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে গণতন্ত্র মঞ্চের আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ওএফএ/কেএ