রাজনীতির ইতিহাসে ব্যারিস্টার মওদুদ চিরস্মরণীয়

রাজনীতির ইতিহাসে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, মওদুদ আহমদ ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে শেষ দিন পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় জিনিস হলো, তিনি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করেছেন। 

রোববার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রয়াত এই নেতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আইনজীবী হিসেবে, রাজনীতিবিদ হিসেবে, সর্বোপরি একজন লেখক এবং গবেষক হিসেবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ অবশ্যই চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি জীবিত থাকবেন তার এলাকার মানুষের কাছে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে, বিএনপির কাছে, আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে, সংগ্রামে আন্দোলনের ইতিহাসে।’

মওদুদ আহমেদের শেষ সময়ে খুব কাছাকাছি আসার সুযোগ হয়েছিল বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি তার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ঋণী, তার বিভিন্ন পরামর্শের জন্য। তিনি আমার কাছে একজন অভিভাবক ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে যখন তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন সেই সময়ে আমি ও ডা. জাহিদ তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে তিনি মুখে মাস্ক নিয়েই আমাকে বলেছিলেন, এবার স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে আমি থাকতে পারব না। ইনশাল্লাহ পরের শনিবারে থাকব। পরের মিটিংয়ে আর উপস্থিত হতে পারেননি, সিঙ্গাপুর থেকে তিনি আর ফিরে আসেননি। তিনি আর কোনোদিনই আমাদের সঙ্গে থাকবেন না। তিনি থাকবেন আমাদের হৃদয়ে, আমাদের অন্তরে।

গত ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিনী হাসনা মওদুদ বক্তব্য রাখেন।

এএইচআর/আরএইচ