তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

দলীয় পদ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আমরা দলকে আরো সুসংগঠিত করতে চাই। দলের কারণেই আজকে আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। সুযোগ সন্ধানীদের কারণে দল যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। আগামী বছরও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক শাহিন ইসলাম। তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো: মুরাদ হাসান, তথ্য সচিব খাজা মিয়া এবং মন্ত্রণালয়ের সংস্থা প্রধানরা ভার্চুয়ালি সেমিনারে যুক্ত হন।

হাছান মাহমুদ বলেন, যুগ যুগ ধরে সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১২ বছরে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আগামী বছরেও তা অব্যাহত থাকবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির বছরে বিশ্বের প্রায় সব দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বিশ্বের মাত্র ২২টি দেশের মধ্যে অন্যতম স্থান অধিকার করেছে। 

যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ ২৮তম অর্থনীতির দেশ হবে। ২০৩৫ সাল নাগাদ হবে পৃথিবীর ২৫তম অর্থনীতির দেশ। অর্থাৎ, বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থান দাঁড়াবে বহু উন্নত দেশের ওপরে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ায় মহামারির প্রতিবন্ধকতা জয় করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। মহামারিতে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি।

আওয়ামী লীগের এই নেতা জানান, এক কোটি ২৫ লাখ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়ে দলের বহু নেতা-কর্মী করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করেছেন।

বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, প্রেস ইনস্টিটিউট ও ওয়েজবোর্ড গঠন করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীন ও সুষ্ঠু বিকাশে বহু পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার হাত ধরে দেশের গণমাধ্যম যেভাবে বিকশিত হয়েছে, তা অতুলনীয়। 

গঠনমূলক সমালোচনা সমাজকে বহুমাত্রিক ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।  

এসএইচআর/এসআরএস