দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে ধর্মপ্রাণ মানুষের রোজা পালন নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর হয়নি। পবিত্র রমজান মাসেও জুলুমবাজ সরকার ধর্মীয় অধিকারে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধর্মের মানুষের জন্য ধর্মপালন উন্মুক্ত হলেও সরকার রমজানের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বাধা দিয়ে ইসলামবিরোধী কদর্য ও নগ্ন চেহারা উন্মুক্ত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।

তারা ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ন্যায়-ইনসাফ, মানবিক মূল্যবোধভিত্তিক শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত কল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে রোববার (৭ এপ্রিল) যৌথ শুভেচ্ছা বাণীতে এসব মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

শুভেচ্ছা বাণীতে মহানগর উত্তরের নেতারা বলেন, রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি ও তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমজান বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে। মূলত রমজান হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও আত্মিক উন্নতি, আল্লাহর সান্নিধ্য ও নৈকট্য লাভের উত্তম মাধ্যম। এর মধ্যেই রয়েছে আর্তমানবতার সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর আমাদের মাঝে আবারও ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

ঈদের প্রকৃত শিক্ষাই হচ্ছে আর্তমানবতার কল্যাণ এবং বিপন্ন ও অভাবগ্রস্ত মানুষের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতরে গণমানুষের কল্যাণ ও দারিদ্র বিমোচনের জাকাত ও সাদাকাতুল ফিতর যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। তারা ঈদুল ফিতরের প্রকৃত শিক্ষা ধারণ করে আর্ত-মানবতার কল্যাণে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

নেতারা বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর জাতি ঈদ উৎসবের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেও তারা মোটেই স্বস্তিতে নেই। সরকার ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন করতে পারেনি। পরিবহন সংকট, বাড়তি ভাড়া ও পথে পথে চাঁদাবাজি জনগণের ঈদযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তারা ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

জেইউ/এসএসএইচ