মানবিক বিবেচনায় রাজনৈতিক বন্দিদের জামিন চায় বিএনপি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মানবিক বিবেচনায় কারাগার থেকে অবিলম্বে গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত আসামি ছাড়া রাজনৈতিক বন্দি ও লঘুদণ্ডে দণ্ডিত অপরাধীদের জামিন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। 

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির পক্ষে এ আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের চূড়ান্ত বিচারে চাঞ্চল্যকর মামলায় দোষীরা বাদে রাজনৈতিক কারণে বন্দি ও লঘু অপরাধে কারান্তরীণ বন্দিদের মানবিক বিবেচনায় জামিন দেওয়া হলে করোনাভাইরাসের এই ভয়াবহ পরিণতি থেকে বন্দিরা রক্ষা পেতে পারেন বলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মনে করে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, যেহেতু চূড়ান্ত বিচারের আগে কাউকেই দোষী বলা যায় না, সেহেতু বিনা বিচারে একজন নির্দোষ লোকও যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাহলে মৃত মানুষটির জীবন সরকার ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই-দেশের জেলখানাগুলোতে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারি রোধে অবিলম্বে গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত আসামিরা ছাড়া রাজনৈতিক বন্দি ও লঘুদণ্ডে দণ্ডিত অপরাধীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক। সম্প্রতি সারাদেশ থেকে গ্রেফতারকৃত বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের কয়েকশ নেতাকর্মীদেরও মুক্তি দাবি করছি। কারাগারে করোনা সংক্রমণ রোধে বিজ্ঞানসম্মত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় অনেক বন্দির জামিন আবেদনের শুনানি হচ্ছে না। তাই বন্দিরা যাতে আইনগতভাবে দ্রুত জামিন পেতে পারেন সেজন্য আদালতের বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোরও আহবান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ধারণক্ষমতার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি বন্দি থাকায় কারাগারে স্বাস্থ্যবিধি মানা বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। যার ফলে কারাগারগুলো করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রবল ঝুঁকিতে আছে। 

এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি কারাগারে করোনাভাইরাসে বন্দিদের আক্রান্তের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যু ঘটেছে বলেও সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কারাগারগুলোতে চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। এমতাবস্থায় বন্দিদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে বন্দি ও তাদের আত্মীয়-পরিজনরা চরম উদ্বিগ্ন অবস্থায় আছেন- যোগ করেন ফখরুল।

পিএসডি/আরএইচ