বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর/ ফাইল ছবি

শরণার্থী শিবির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল কিংবা আল জাজিরা, এপির মতো বিভিন্ন গণমাধ্যম কার্যালয় কিছুই ইসরায়েলি সর্বগ্রাসী হামলার ছোবল থেকে বাদ যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রকেট হামলার মাধ্যমে গণমাধ্যমের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যই হচ্ছে ইসরায়েলি সেনাদের নৃশংস হামলার সংবাদ যেন বিশ্ববাসী জানতে না পারে।

রোববার (১৬ মে) দুপুরে বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী স্থল ও আকাশ পথে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নারী-শিশু, কিশোর-যুবক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নির্বিচারে নির্মমভাবে হত্যা করছে। এমন বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসী স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আমি মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসা মসজিদসহ গাজা এবং অন্যান্য এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ ব্যাপক বোমা হামলা ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। এই হামলা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। ফিলিস্তিনিদের এই দুঃসময়ে তাদের বেদনার্ত জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপিও সমব্যথী এবং ক্ষুব্ধ।

বিএনপি ও বাংলাদেশের জনগণ প্রথম থেকেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সমর্থন দিয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তার সরকারের আমলে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সবসময় সোচ্চার ছিলেন এবং এখনও বিএনপি সেই নীতিতে অটল আছে। 

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলকে এ ধরনের হামলা, নৃশংসতা ও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখাসহ ইসরায়েলের দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাস্তবসম্মত স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে জাতিসংঘ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

এএইচআর/এইচকে