খালেদা জিয়া হার্ট ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন
মহিলা দলের আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হার্ট ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে জ্বর নেই, শ্বাসকষ্টও নেই। কিন্তু পোস্ট কোভিড জটিলতায় তিনি হার্ট ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, চিন্তিত।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, উন্নত দেশে এমন চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে, যার মাধ্যমে তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু তা এ দেশে নেই। সেই কারণে বারবার করে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের শেষ আশ্রয়স্থল। তারা (সরকার) মনে করে, বেগম জিয়া যদি দেশের বাইরে যান, তাহলে আবার তিনি তাদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করবেন। চিকিৎসকেরা রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করছেন। আমরা আশাবাদী, খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে আবার আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন।
বিভক্তি ছেড়ে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে বললেন মির্জা ফখরুল
আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিক ভাইদের মধ্যে একাধিক ইউনিয়ন ও অ্যাসোসিয়েশন। তাহলে কী হচ্ছে? একজনের যে ভাষা, একজনের যে বক্তব্য- তা কিন্তু সেই জোর পাচ্ছে না। আজ সবাই মিলে একজোট হয়ে বলেন, সাংবাদিক নির্যাতন চলবে না, নির্যাতন চলবে না। তাহলে দেখবেন যে আস্তে আস্তে সম্মান বাড়বে। সাংবাদিকদের আমি অনুরোধ করবো, বিভক্তি রাখবেন না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু একটা অনুরোধ থাকবে, আপনারা অন্যায়কে অন্যায় বলবেন, কালোকে কালো বলবেন, সাদাকে সাদা বলবেন। আসুন না আমরা নিজের দেশটাকে বাঁচানোর জন্য আমরা সবাই মাথা তুলে দাঁড়াই, অন্তত একবার দাঁড়াই। তাহলে দেখবেন অনেক কিছু সহজ হয়ে যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী ভাই ৭-৮ মাস ধরে জেলে। কেন জেলে? ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপরাধে। এ আইনটি করার সময়ে আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু ভেস্তে গেলো।
তিনি বলেন, লোভের কাছে মাথা নত করা যাবে না। নিজেকে বাঁচানোর জন্য, নিজে ভালো থাকব, নিজে ভালো গাড়ি চড়ব, নিজের এপার্টমেন্ট ভালো পাব- এই যদি চিন্তা করি, তাহলে সাংবাদিক কমিউনিটিকে বাঁচানো যাবে না, গণমাধ্যমকে বাঁচানো যাবে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, দুটি দানব আমাদের আক্রমণ করেছে। একটি করোনাভাইরাস, আরেকটি আওয়ামী লীগ সরকার। কোভিড গোটা বিশ্বকে তছনছ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের যত অর্জন সব কিছুই এই আওয়ামী লীগ সরকার ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে যে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেওয়া।
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, বর্তমান সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, মহিলা দলের নেত্রী নাজমুন নাহার বেবী, নেওয়াজ হালিমা আরলী, নিলোফার চৌধুরী মনি প্রমুখ
এমএইচএন/আরএইচ