চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর বলেছেন, ফটিকছড়ি আবারও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হয়ে উঠছে। চুরি-ডাকাতি, খুন, রাহাজানিসহ তাণ্ডব চলছে। তবে প্রশাসন অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফটিকছড়ি উপজেলার বিবিরহাটে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সরওয়ার আলমগীর বলেন, কিছুদিন আগে ফটিকছড়ির বাগান বাজার ইউনিয়নে নিজের কৃষি জমি থেকে মাটি কাটতে বাঁধা দেওয়ায় ভূমিদস্যুদের আঘাতে নিহত হন দুলায়েত হোসেন দুলাল। কয়েকদিন আগে দাঁতমারাতে নিহত হন শহীদুল ইসলাম। আরও কিছুদিন আগে নিহত হয় আমান উল্লাহর মেয়ে তাবাসসুম।

তিনি বলেন, বাগান বাজারে নিহত দুলায়েত হোসেনের পরিবারকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য খুনিরা হুমকি দিচ্ছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে তাদের অবস্থাও দুলালের মতো হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুরো ফটিকছড়িতেই এখন প্রায় একই অবস্থা। কয়েকজন বিশেষ ব্যক্তির লোকজন খালের বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বাগানের কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এমন কোনো দিন নেই চোরা রাবার ফটিকছড়ি থেকে পাচার হচ্ছে না।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সন্ত্রাসীরা ফটিকছড়ির বন উজাড় করে দিচ্ছে, পাহাড় মাটি কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলছে। অনতিবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করার অনুরোধ করছি। যদি এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করা হয়, তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে। তাদের বিভিন্নভাবে পদায়ন করা হচ্ছে। তারাই দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেছেন, আমাদের দলের কেউ যদি এ জাতীয় ভুল করে তাহলে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে, আমাদেরও তাই হবে।

তিনি বিএনপির নাম বিক্রি করে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করতে উপজেলা কমিটির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আবুল কালাম, উত্তর জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন শাহীন, জেলা বিএনপির নেতা মহিউদ্দিন আজম তালুকদার, উত্তর জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন এবং ফটিকছড়ি পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

এমআর/এসএসএইচ