গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণতন্ত্র কেবল একটি পদ্ধতিগত ব্যাপার নয়। এর মধ্যে জবাবদিহিতার নিশ্চয়তাও থাকতে হবে। তা না হলে এটা সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনে রূপান্তরিত হয়, যা কখনও ফ্যাসিবাদী শাসন হয়ে উঠতে পারে।

শনিবার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। রাজনীতিবিদ আবদুস সালামের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘গণতন্ত্র ও গণমানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা কোন পথে?’ শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ১৯৭১ সালে এদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, ১৯৯০ সালেও স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু ১৯৯০ সালে ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও শাসনতন্ত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বর্তমানে আমরা সামরিক শাসনের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছি।

আব্দুস সালামের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ ও সভা পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহানাইন বাবু। সভায় আবদুস সালামের ওপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।

সাকি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার একটি স্থায়ী পরিবর্তন দরকার। এই কর্মসূচি তৈরি করতে পারলেই মানুষের মধ্যে নতুন করে উৎসাহ তৈরি হবে, ঐক্যবদ্ধ হবে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গত ১০ বছরে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। এক হাজারের অধিক মানুষকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে অত্যাচার করা হয়েছে এবং প্রায় ৬০০ মানুষকে গুম করা হয়েছে। এর কোনো জবাবদিহিতা নেই।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা ছিল, সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার’। এ অঙ্গীকার থেকে বর্তমান সরকার সরে গেছে। কিন্তু এ অঙ্গীকার রক্ষার জন্য একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান দরকার। বিদ্যমান ক্ষমতাকাঠামোর আমূল সংস্কার দরকার।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাক আহমেদ এবং গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল।

এএইচআর/এসকেডি