আলোচনা সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘শোনা যাচ্ছে, একজন নার্সকে দিয়ে টিকা দেওয়া শুরু হবে। কেন? গরিবের মেয়ে বলে তাকে দিয়ে টিকা শুরু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, আপনি আগে টিকা নিন। তাহলে মানুষ টিকার প্রতি আস্থা পাবে।’

রোববার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে রাষ্ট্রচিন্তা, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও ছাত্র-যুব-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের টিকা দিতে নাকি নতুন করে নিবন্ধন করা লাগবে। নতুন করে নিবন্ধন কেন করতে হবে? তাহলে জন্মনিবন্ধন আছে কীসের জন্য? বর্তমান সরকার দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও একটি মানবিক দেশ গড়ার কথা বলতে হচ্ছে। এমন একটি মানবিক দেশ গঠন করতে হবে যেখানে মানুষের অধিকার থাকবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের করেছিল, সেই আকাঙ্ক্ষা একাত্তরের পর বাস্তবায়িত হয়নি। মানুষের যত অধিকার আছে তা কেড়ে নিয়েছে শাসকরা। এই ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটাতে হবে।’

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ গুম–খুন–ধর্ষণ–দুর্নীতির রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর এখন আর মানুষের বিশ্বাস নেই। দলগুলো সাধারণ মানুষকে ডাকলে তারা আসেন না।’

তিনি বলেন, ‘এক দানবকে সরিয়ে আরেক দানবকে আনলে হবে না। এই রাষ্ট্রের সংস্কার প্রয়োজন। আইনের শাসন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি স্বৈরতন্ত্রের অবসান হয়েছিল, তেমনই এক গণঅভ্যুত্থানের সময় চলে এসেছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই বর্তমান স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটাতে হবে। একটা মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হবে।’

আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেন, রাষ্ট্রচিন্তার সভাপতিমণ্ডলীর নঈম জাহাঙ্গীর, সদস্য হাসনাত কাইয়ুম, রাখাল রাহা, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান প্রমুখ।

এইচএন/এফআর