সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

হাসপাতালে সিসিউইতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমি চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চিকিৎসা করছেন। সুচিকিৎসার কারণে দেশনেত্রীর জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

রোববার (৩০ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। এই জ্বর হয়ত খালেদা জিয়ার আর আসবে না। তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দুঃখ হয়- যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনীর কারানির্যাতন ভোগ করেছেন, তাকে চিকিৎসার জন্য সুযোগ দেওয়া হয় না। বারবার বলা হয়েছে- তার অ্যাডভান্সড (উন্নত) চিকিৎসা দরকার। সেটা একটা অ্যাডভান্সড চিকিৎসা সেন্টার করা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।

জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার শৃঙ্খল থেকে এই জাতিকে মুক্ত করেছেন বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।  

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য- এই জাতি লড়াই করেছিল একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য। কিন্তু আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবে সেই উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ছদ্মবেশে কাজ করছে। আওয়াম লীগ এই দেশে সাম্প্রদায়িকতা বীজ বপন করছে। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ কখনও এই দেশের জন্য ভালো কোনো কাজ করেনি। তারা শুধু ধ্বংসের জন্য কাজ করেছে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গোটা জাতিকে লড়াই করতে হয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধুমাত্র বিএনপি নয়, সমগ্র জাতি এই ফ্যাসিবাদের ভুক্তভোগী। তারা আমাদের মুক্ত স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

এএইচআর/এসএসএইচ