ওবায়দুল কাদের / ফাইল ছবি

আসন্ন উপনির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না শুনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড় বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (৪ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা-১৪, সিলেট-৩ এবং কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক প্রার্থীর সংখ্যা অনেক। খুব একটা অসুবিধা নেই, এই কথা মনে করে অনেকই আবার প্রার্থী হচ্ছেন। পাই আর না পাই প্রার্থী হতে চাই। কারণ বিএনপি নির্বাচনে নেই। সেজন্য প্রার্থীদের দৌড়ও বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, নেত্রীর সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়নি। সাধারণ একটি গাইডলাইন তিনি দিয়েছেন। সেটা হলো ‘আমি ত্যাগী ও পরীক্ষিত কাউকে মনোনয়ন দেব। যারা জনগণের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্য এবং দুঃসময়ে ছিলেন’-এমন একটি ধারণা তিনি আমাকে দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকবে। দলীয়ভাবেও রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। নেত্রীরও নিজস্ব একটি টিম আছে। সেই টিম দিয়ে তিনি মাঠপর্যায়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। আশা করি, আমরা যথাযথ ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারব।

তিনি বলেন, যেসব সাংগঠনিক শাখার সম্মেলন হয়েছে, নিয়মিত কমিটি রয়েছে সেগুলোয় সদস্য সংগ্রহ বই দেওয়া শুরু করবো। কারণ করোনা কবে শেষ হবে কেউ জানে না। আমাদের এর সঙ্গে বসবাস করতে হবে। এর মধ্যে বাঁচতে শিখতে হবে। আমাদের সংগঠনও চালিয়ে যেতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো। নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরবো।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা আমাদের সভা-সমাবেশগুলো করব। ঢাকঢোল না পিটিয়ে আমাদের টিমগুলো ঘরে ঘরে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করবে। এটা আমাদের ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী। চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যূ, মাদকাসক্ত এই ধরনের লোক এবং যারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, এদের কোনোভাবে আওয়ামী লীগের সদস্য করা যাবে না। এটা আমরা বারবার বলেছি, আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, কাউকে খুশি ও দলভারী করার জন্য কেউ যদি বিতর্কিত লোকদের টেনে আনেন, তাহলে তাকেও কিন্তু শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রত্যেক টিমকে জবাবদিহি করতে হবে। যাদের সদস্যপদ দেওয়া হবে, তাদের পরিচয়, ব্যাকগ্রাউন্ড পুরোপুরি জানতে হবে। হঠাৎ করে জোয়ারে এসে ক্ষমতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, আর কাজেকর্মে ভিন্ন-এ ধরনের লোকের দরকার নেই। অপরাধী ও অপকর্মকারীদের প্রশ্রয় দেবেন না।

কাদের বলেন, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। দুঃসময়েই তারাই পাশে থাকে। সুসময়ের কোকিলরা তখন সটকে পড়ে। তাই তাদের জন্য রাজনীতির পথ মসৃণ করতে হবে। তাদের কোণঠাসা করলে দল কোণঠাসা হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, ঢাকা সিটির অসংখ্য কমিটি দুইজনের। অসংখ্য কর্মী কাজ করেন। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরলে স্ত্রী ও মা-বাবা জিজ্ঞেস করলে পরিচয় বলতে পারেন না। অথচ তারা আওয়ামী লীগ করেন। কমিটিতে পদ পড়ে আছে, কিন্তু দেওয়ার কেউ নেই। যারা এ পরিচয় দেওয়া থেকে বঞ্চিত করছেন, তারা সংগঠনকে বঞ্চিত করছেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।

এইউএ/এসকেডি