বেসরকারি শিক্ষা খাতে কর আরোপ অদূরদর্শী ও অনৈতিক : ন্যাপ
প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে প্রাইভেট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ। দলটির শীর্ষ দুই নেতা বলেছেন, রাজস্ব বাড়ানোর অজুহাতে শিক্ষা খাতে কর আরোপ অদূরদর্শী ও অনৈতিক। এটি বৈষম্যের চরম একটি উদাহরণ।
শনিবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তারা বলেন, রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে টিউশন কর আরোপ করা সরকারের দীর্ঘমেয়াদী ভিশনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সংঘাতপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অপরিণামদর্শিতারই প্রমাণ। শিক্ষার্থীদের ওপর করের বোঝা চাপানো নৈতিকতার পরিপন্থী।
শিক্ষার ওপর কর আরোপের ফলে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশি ফি দিতে হবে উল্লেখ করে ন্যাপের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। অনেক শিক্ষার্থীর পরিবার আর্থিক সংকটে রয়েছে। এ অবস্থায় বর্ধিত ফি বোঝা বহন করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে অসম্ভব। আগেও সরকার ২০১০ ও ২০১৫ সালে বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি’র ওপর করারোপ করেছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এখন আন্দোলনের ভয়ে সরকার এবার টিউশন ফি’র ওপর সরাসরি করারোপ না করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভূত আয়ের ওপর প্রস্তাব দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তারা আরও বলেন, বাস্তবতা হলো প্রতিষ্ঠানের আয়ের ওপর করারোপ করলে মালিকপক্ষ তা ফি বাড়ানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই আদায় করবে। ফলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদেরই পকেট কাটা হবে।
রাষ্ট্রের কর্তব্য বিনামূল্যে সবার জন্য একমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করা উল্লেখ করে ন্যাপের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বলেন, কিন্তু সরকার সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় গড়ে উঠেছে বহু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সেখানে ছাত্রদের টাকার বিনিময়ে পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। সেটা ছাত্রদের জন্য নিঃসন্দেহে কষ্টকর। কিন্তু কর আরোপের ফলে শিক্ষাব্যয় নতুন করে বাড়লে বহু শিক্ষার্থী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও আর পড়তে পারবে না।
এএইচআর/এমএইচএস