জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের/ ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, টিকা কোথা থেকে কীভাবে আসবে তার কেবল আশার বাণী শুনতে পাচ্ছি। নিশ্চিতভাবে কবে কোথা থেকে আসবে সেই তথ্য পাচ্ছি না। সরকারের এই বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন।

সোমবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, উন্নত বিশ্ব নাগরিকদের টিকার আওতায় এনে সবকিছু ধীরে ধীরে খুলে দিচ্ছে। এতে অনেক উন্নত দেশ এগিয়ে গেছে। অনেক অনুন্নত দেশও তা করার চেষ্টা করছে। 

তিনি বলেন, আমাদের দেশে সরকার টিকা প্রদানে যে পরিকল্পনার কথা বলেছে তাতে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে একডোজ টিকা দিতে ৫ বছর লাগবে। দুই ডোজ দিতে ১০ বছর লাগবে। এই পরিকল্পনায় ১০ বছরে দেশের অর্থনীতির কী হবে তা বুঝতে পারছি না।

স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ অপ্রতুল দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সব দেশে স্বাস্থ্যখাতে বেশি বরাদ্দ দিয়ে থাকে। করোনায় সবাই উদ্বিগ্ন ও বিপর্যস্ত। এই সময় স্বাস্থ্যখাতে বেশি বরাদ্দ দরকার। কিন্তু আমাদের এখানে বরাদ্দ খুবই কম।

জিএম কাদের বলেন, আমি মনে করি স্বাস্থ্যখাতে কমপক্ষে জিডিপির ২ শতাংশ বরাদ্দ দরকার। স্বাস্থ্যখাত শক্তিশালী হলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ হলে আমাদের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।

তিনি বলেন, বাধা ছাড়াই হয়ত সম্পূরক বাজেট অনুমোদিত হবে। বাজেটে কম বা বেশি খরচ দুটোকেই অস্বাভাবিক বলতে হবে।

বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, বৃদ্ধির প্রস্তাব হলে সেখানে দুর্নীতি রয়েছে কি না বা বাজেট যারা প্রণয়ন করেছেন তাদের ত্রুটি ছিল কি না সেটা দেখা দরকার। আর এর জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনা উচিত। অপরদিকে পরিকল্পিতভাবে খরচ কমানোকে মিতব্যয়ী বলতে পারি। কিন্তু খরচ করতে না পারাকে অদক্ষতা বলতে হবে।

এইউএ/এইচকে