শরিকদের আসন নিয়ে টানাপোড়েন, বিএনপি সরকারে গেলে মূল্যায়নের আশ্বাস
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই মাসেরও কম সময় বাকি। এখনো আসন সমঝোতা না হওয়ায় বিএনপির শরিক দলগুলোর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় সমঝোতার পথ খুঁজতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছে বিএনপি। টানা দুই দিন বৈঠক করেও আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি। দলটি আরও কয়েক দিনের সময় চেয়েছে এবং যাদের আসন দেওয়া সম্ভব নয়, তাদের সংসদ ও জাতীয় সরকারের মাধ্যমে মূল্যায়নের আশ্বাস দিয়েছে।
বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন (বৃহস্পতিবার) গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক পাঁচ দল ও গণফোরামের সঙ্গে বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন। বৈঠকে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। এর মধ্যেই শুক্রবার গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপিসহ অন্যান্য শরিক দলের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের পক্ষ থেকে বিএনপির কাছে ছয়টি আসনের দাবি জানানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত একটি আসনও চূড়ান্ত না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বৈঠক শেষ করে দলটি। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে গণফোরামের নেতাদের আশ্বাস দেওয়া হয়, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মধ্যে যাদের ক্ষেত্রে আসন ছাড় দেওয়া সম্ভব হবে না, তাদের সংসদের উচ্চকক্ষে এবং নির্বাচন-পরবর্তী জাতীয় সরকারে ‘যথাযথ মূল্যায়ন’ করা হবে।
বৈঠক শেষে গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা গণফোরামের পক্ষ থেকে ছয়টি আসন সমঝোতার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু বিএনপি এখন পর্যন্ত একটি আসনও নিশ্চিত করেনি। তারা আগের মতোই শুধু বলছে- ‘আমরা দেখছি, দেখবো, আমরা তো একসঙ্গে আছি।’
তিনি বলেন, নির্বাচনে যেসব দলকে আসন দেওয়া সম্ভব হবে না, তাদেরকে সংসদের উচ্চকক্ষ এবং নির্বাচন-পরবর্তী জাতীয় সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি- এমন তথ্যও বৈঠকে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা না হলেও গণফোরাম নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। এ বিষয়ে সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক দল, নির্বাচন অবশ্যই করবো। তবে, আমরা আরও কিছুদিন সময় নিচ্ছি, দেখি কি হয়।’
এদিন গণফোরামের পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি ও ভাসানী জনশক্তি পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করে বিএনপি।
গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির পছন্দ অনুযায়ী আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের জন্য একটি আসন দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রবের ক্ষেত্রেও একটি আসন দেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।
তবে ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর বিষয়ে আসন দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি।
শরিক দলগুলোর নেতারা জানান, চূড়ান্তভাবে কোন দলকে কতটি ও কোন আসন দেওয়া হবে- এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি। তবে অতীতে যুগপৎ আন্দোলনে একসঙ্গে থাকার কথা স্মরণ করে ভবিষ্যতেও ঐক্যবদ্ধভাবে চলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে দলটি। একইসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা শেষে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে যুগপৎ শরিকদের জানানো হবে- এমন আশাবাদও জানিয়েছে বিএনপি।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ফেনী–৩ আসনের প্রার্থী। দলটির পক্ষ থেকে এই আসনটি ছাড় দেওয়ার দাবি জানানো হলেও বিএনপি ইতোমধ্যে সেখানে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
বৈঠক শেষে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আমরা ছয় থেকে সাতটি আসনের দাবি জানিয়েছি। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর–৪, ফেনী–৩সহ আরও কয়েকটি আসন রয়েছে। তবে বিএনপি এখনো আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আমাদের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে আসন সমঝোতার বিষয়ে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ঢাকা–৮ আসন ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। যদিও এ আসনে বিএনপি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে ঢাকা–৮ আসন না হলে সাইফুল হক ঢাকা–১২ আসন থেকেও নির্বাচন করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। কিন্তু ওই আসনেও বিএনপি ইতোমধ্যে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম নীরবকে প্রার্থী করেছে।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬ আসনের প্রার্থী করা হয়েছেন। বিএনপিও এ আসনে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। বিএনপি যদি ঢাকা–৮ আসন দিতে না পারে, সে ক্ষেত্রে ঢাকা–১২ আসন দেওয়া হলে আমাদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হবে।
তিনি জানান, তাদের দলের পক্ষ থেকে মোট ছয়টি আসনের দাবি জানানো হয়েছে।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬ আসনের প্রার্থী করা হয়েছেন। বিএনপিও এ আসনে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
বৈঠক শেষে জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকের বৈঠকে আসন নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএনপি জানিয়েছে, নিজেদের মধ্যে আলোচনা শেষে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে (২০ ডিসেম্বর) যুগপৎ শরিকদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া–২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপিও এই আসনে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি, যা তাকে আসনটি ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু জামালপুর–৫ আসনটি বিএনপির কাছে ছাড় দেওয়ার দাবি জানালেও বিএনপি ইতোমধ্যে সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, ভাসানী জনশক্তি পার্টিকে আসন্ন নির্বাচনে কোনো আসন ছাড় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে দলটিকে সংসদের উচ্চকক্ষ এবং নির্বাচন-পরবর্তী জাতীয় সরকারে ‘যথাযথ মূল্যায়ন’ করার বিষয়ে বিএনপির মধ্যে আলোচনা রয়েছে।
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, বৈঠকে বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন- অতীতের মতো ভবিষ্যতেও যুগপৎ শরিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চান তারা এবং একসঙ্গে সরকার গঠনের লক্ষ্য রয়েছে। তবে আসন ছাড় নিয়ে আলোচনা হলেও এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া–২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপিও এই আসনে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি, যা তাকে আসনটি ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৈঠক শেষে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বৈঠকে আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
নাগরিক ঐক্যের এক নেতা জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- মাহমুদুর রহমানকে শুধু আসন ছাড় দেওয়া সম্ভব। তখন মান্না ২০১৮ সালে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন- ওই নির্বাচনে ৫টি আসন ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাহলে এখন একটি আসন হলে, আমরা এগিয়ে গেলাম নাকি পিছিয়ে গেলাম সেই প্রশ্ন তুলেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, বৈঠক মূলত দেখা-সাক্ষার জন্য ছিল, কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদেরকে বলা হয়নি যে আমরা আসন পাচ্ছি বা পাচ্ছি না।
বৈঠকে অংশ নেওয়া ১২ দলীয় জোটের এক শীর্ষ নেতা বলেন, এটাকে বৈঠক বলতে গেলে বলতে হবে ‘নাস্তা খাওয়া’। সেখানে আসল কোনো আলোচনা হয়নি। আমাদের ডাকা হয়েছিল, আমরা গিয়েছিলাম। কিছু নাস্তা ছিল, খেয়েছি, তার বাইরে বলার মতো কিছু নেই।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য থেকে যতটুকু বোঝা গেছে, ১২ দলীয় জোটের মধ্যে কেবল জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামাল হায়দারকে (পিরোজপুর-১) আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে। বাকি ১২ দলীয় জোটের কোনো দলকে আসন দেওয়া হবে না।
১২ দলীয় জোটের নেতারা অভিযোগ করেছেন, নিজের আসন ছাড় পাওয়ার আশ্বাস পেয়ে বুধবারের বৈঠকে অংশ নেননি মোস্তাফা জামাল হায়দার।
মোস্তাফা জামাল হায়দার বলেন, আমি বৈঠকে যেতে পারিনি। এখন পর্যন্ত আমার পিরোজপুর-১ আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বিএনপি আশ্বাস দিয়েছে। তবে আমরা ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে আরও দুটি আসন চেয়েছি। একটি জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার জন্য, অন্যটি জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য আহসান হাবীব লিংকনের জন্য। আশা করি বিএনপি এগুলো বিবেচনায় নেবে।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতারা জানিয়েছেন, তাদের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে নড়াইল-২ আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বিএনপি নিশ্চিত করেছে। জোটের বাকি সাত দলের আসন ছাড় নিয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি, তবে সংসদের উচ্চকক্ষ ও জাতীয় সরকারে মূল্যায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য আসন বরাদ্দের চূড়ান্ত ঘোষণা আগামী ২০ ডিসেম্বর করা হতে পারে। সবমিলিয়ে ১৮ থেকে ২০টি আসন শরিকদের দেওয়া হবে। অনানুষ্ঠানিকভাবে অনেকের কাছে ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে
ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আমার আসন নিশ্চিত করেছে বিএনপি। যাদের আসন দেওয়া সম্ভব হবে না, তাদেরকে অন্যভাবে মূল্যায়ন করারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান জানিয়েছেন, শুক্রবার তাদের বিএনপির সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বিএনপির কাছে ২৫টি আসন চাওয়া হয়েছে।
এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ জানান, তাদের দলের পক্ষ থেকেও বিএনপির সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক হবে। আগে তারা ১১টি আসন চেয়েছিল।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য আসন বরাদ্দের চূড়ান্ত ঘোষণা আগামী ২০ ডিসেম্বর করা হতে পারে। সবমিলিয়ে ১৮ থেকে ২০টি আসন শরিকদের দেওয়া হবে। অনানুষ্ঠানিকভাবে অনেকের কাছে ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির নেতারা বলেন, প্রথমে শরিকদের ৪০টি আসন দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী, জোটবদ্ধ নির্বাচন হলেও প্রতিটি দলকে নিজ দলের মার্কা নিয়ে অংশ নিতে হবে। তাই ধানের শীষের মার্কা ছাড়া অনেক শরিক দলের প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হওয়া কঠিন। ফলে, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকা প্রার্থীদেরই আসন দেওয়া হবে। অন্যদের বিকল্পভাবে সংসদের উচ্চকক্ষ বা জাতীয় সরকারের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে আসন বণ্টন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সবাই তাদের মতামত জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, সংশোধিত আরপিওর কারণে আসন বণ্টনে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো বাঁধা থাকলে অনেক বেশি আসন ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু এখন ১৮-২০টি আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে।
তিনি জানান, আন্দালিব রহমান পার্থ, ববি হাজ্জাজ, জোনায়েদ সাকি, মাহমুদুর রহমান মান্নার মত যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাদেরকেই আসন ছাড় দেওয়া হবে।
এএইচআর/এমএসএ