ফাইল ছবি

জনগণের জীবন সুরক্ষায় করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহে জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি ৪ দফা দাবি জানিয়েছে জেএসডি।

দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহ করার সরকারি কোনো পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় অল্প সময়ে টিকা পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়বে। করোনা টিকার মত প্রাণরক্ষাকারী অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান বা ভারতের উপর নির্ভর করা চরম ঝুঁকিপূর্ণ।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা আশঙ্কা প্রকাশ করে এ দুই নেতা বলেন, বিশ্বের বহু দেশ যখন খুব দ্রুত হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের লক্ষ্যে করোনার টিকা দেয়া শুরু করেছে, তখন আমাদের দেশে টিকা নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।

জেএসডির ৪ দফা দাবিগুলো হলো- ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের বাইরে অন্য কোনো উৎপাদনকারী দেশ থেকে দ্রুত করোনা টিকা আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করা; টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যে জনবল নিয়োগ, ট্রেনিং, সংরক্ষণ, সরবরাহ, বিতরণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করা; টিকা দেওয়ার প্রায়োরিটি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে তা প্রচার করা; এবং টিকা উৎপাদনে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে সরকারের পূর্ণ সমর্থন প্রদান করা।

বিবৃতিতে জেএসডি নেতারা বলেন, ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী অর্থাৎ প্রায় ১২ কোটি মানুষের ২ ডোজ করে  ২৪ কোটি ডোজ টিকার প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে ভারত থেকে আসবে মাত্র ৩ কোটি ডোজ টিকা। যা একেবারেই অপ্রতুল। তা পেতেও ছয় মাস লাগবে। ফলে বিরাট জনগোষ্ঠী করোনা ঝুঁকিতে থাকবে। সরকার যথাযথভাবে করোনা টিকা সংগ্রহ করতে না পারলে বহু মানুষের আক্রান্ত ও মৃত্যুর মাশুল দিতে হবে।

বিকল্প উৎস থেকে করোনার প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকা সংগ্রহ করা আহ্বান জানিয়ে তারা আরও বলেন, টিকা সংগ্রহ আমাদের রাষ্ট্রের জন্য অতি আবশ্যক। আশা করছি, সরকার মানুষের জীবন সুরক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।

সরকার করোনার শুরু থেকে পরীক্ষা, চিকিৎসা, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনাসহ কোনো ক্ষেত্রেই সাফল্য দেখাতে পারেনি অভিযোগ করে জেএসডির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, টিকা নিয়েও সরকার সব ব্যর্থতাকে সফলতা বলে প্রচার করে রাজনৈতিক সুবিধা নেবে। বিনিময়ে অনেক মানুষের অমূল্য প্রাণ হারাতে হবে।

এএইচআর/এমএইচএস